হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুকে অস্বস্তি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তবে তাঁর কী হয়েছে সে নিয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি। bangla.aajtak.in-এর তরফ থেকে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর সহকারি ফোন ধরেন। তিনিই জানান যে সন্ধ্যা রায় শনিবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। এখনই সকথা বলার মতো অবস্থাতে নেই।
সন্ধ্যা রায়ের সহকারী জানীন যে আচমকাই বুকে ব্যথা শুরু হওয়ায় তাঁকে শনিবারই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা এখনই কিছু বলতে পারছেন না অভিনেত্রীর কী হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা অভিনেত্রীকে কিছুদিন হাসপাতালেই থাকতে বলেছেন। ৭৯ বছরের অভিনেত্রী বেশ কয়েক বছর ধরেই বিনোদন জগতের বাইরে রয়েছেন। রাজনীতিতে নাম লিখেয়েছেন তিনি। তবে বয়সের কারণে আর মিটিং-মিছিলে সেভাবে দেখা যায় না তাঁকে।
দুবছর আগেই মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী তরুণ মজুমদার। যদিও তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন না। তবে স্বামীর অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালেও ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে সন্ধ্যা রায়কে। সন্ধ্যা রায়ের কেরিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি ‘আলোর পিপাসা’র পরিচালক তরুণ মজুমদার। এরপর একে একে ‘ঠগিনী’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘কুহেলি’, ‘সংসার সীমান্তে’-এর মতো তরুণ মজুমদারের ছবিতে কাজ করেছেন সন্ধ্যা রায়। কাজ করার সুবাদেই তাঁদের মধ্যে প্রেম ও পরে বিয়ে হয়। তবে শেষের দিকে দুজনে আলাদা থাকতেন। কিন্তু খাতায়-কমলে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তরুণ মজুমদারের ছবির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে সন্ধ্যা রায়।
২০২১ সালেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। নবদ্বীপে জন্ম সন্ধ্যা রায়ের। অভিনেত্রীর জন্মের কিছুদিন পর বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। পরে ১৯৫৭ সালে ভারতে ফেরেন সন্ধ্যা রায়। সিনেমার জগতে তাঁর প্রবেশ ছয়ের দশকে। ‘মায়া মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’, ‘অশনী সংকেত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বাবা তারকনাথ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমসারির অভিনেত্রী হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা রায়।