বাংলা বিনোদন জগতে শোকের ছায়া। প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। গত ছয় মাস ধরে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। যে কারণে অভিনয় থেকে দূরেই ছিলেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সহ-অভিনেতাদের। শেষ ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি।
বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া টেলিভিশন দুনিয়ায়। প্রায় ৭০ বছর ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন’-এর সঙ্গে সম্পর্ক অভিনেত্রীর। উত্তমকুমার, ছবি বিশ্বাস, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, অভিনেত্রী পেটের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। একটি কিডনিও অচল ছিল। চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন ছিল। ২০২৫ সালের শুরুর দিকেও তিনি ‘গীতা এলএলবি’-র সেটে ফিরেছিলেন এবং ধারবাহিকের এক বছরের উদ্যাপনে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও এর পরে তাঁর পাঁজর ভেঙে যাওয়ায় শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তার পর থেকেই মূলত সেটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে অভিনেত্রীর।
বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গেই থাকতেন অভিনেত্রী। মেয়ে আসা পর্যন্ত দেহ রাখা হয় তাঁর বাড়িতে। বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় আর্টিস্ট ফোরামেও। প্রচণ্ড অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও রোজ দমদম থেকে সোনারপুরে শ্যুটিং সেটে যেতেন তিনি। ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বার বার অভিনেত্রীর অসুস্থতার কথা তুলে ধরেছিলেন প্রকাশ্যে। বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে আর্থিক ভাবে সহায়তা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আবেদন করেছিলেন অভিনেতা। ‘ঠগিনী’, ‘আমি সে ও সখা’ ছবিতে তাঁর কাজ উল্লেখযোগ্য। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।