২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল। সোশাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লেখার এক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার সকালে সাভার থানায় ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সন্ধের মধ্যেই ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ-কে। অভিযোগের ভিত্তিতে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরীমনি। তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টা আগেও যাঁরা কোনও রকম সহযোগিতা করেননি, তাঁরাই এখন পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এ জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশনে নিজের বাড়িতে আর এক প্রস্থ সাংবাদিক সম্মেলন করেন পরীমনি। তিনি বলেন, “আজকে আমি অনেক খুশি। আজকে অনেক শান্তি লাগতেছে। এত তাড়াতাড়ি জিনিসগুলো হয়েছে, এতটা আশাও করেছিলাম না। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমার পাশে ছিলেন, আমাকে সাপোর্ট করেছেন।”
চার দিনে যারা ঘটনাটি জেনেছেন, তাদের অনেকেও উল্টো ‘দমিয়ে রাখার’ চেষ্টা করা হয় বলে জানান পরীমনি। তিনি আরও বলেন, “এই লড়াইটা কতটা কঠিন, সেটা গত চার দিনে আমি বুঝে গেছি। আমি যতক্ষণ না সুবিচার পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আমি অনেক ভরসা পাচ্ছি। আমি উঠে দাঁড়ানোর মতো ভরসা পাচ্ছি। এখন পুরোটা লড়তে চাই।”
অভিনেত্রীর অভিযোগ চার দিন আগে উত্তরায় বোট ক্লাবে নাসির মাহমুদ তাঁর উপর চড়াও হয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা করেন নাসির। ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির একজন আবাসন ব্যবসায়ী। উত্তরা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি তিনি। ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি বাংলাদশে পুলিশের আই জি বেনজীর আহমেদ। তাঁর কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পীরমনি। তিনি দাবি করেন, ঘটনার পর তিনি বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। পুলিশে জানিয়ে ফল পাননি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্টে খোলা চিঠি লেখেন নায়িকা।