'দিদি নম্বর ১'-রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার দেখা যাবে রাজনীতির আঙিনায়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন রচনা। হুগলি কেন্দ্র থেকে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে চলেছেন দিদি নম্বর ১। বিনোদন দুনিয়ার পাশাপাশি এখন রাজনীতিতেও আলোচিত হচ্ছে তাঁর এই নাম। বড়পর্দা থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছেন অভিনেত্রী। এখন নন-ফিকশন শো-তে তাঁকে সঞ্চালিকা হিসাবে দেখা যাচ্ছে। তবে রচনার কিন্তু এটা আসল নাম নয়। বরং অভিনেত্রীর রয়েছে অন্য নাম।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই নামে তিনি জনপ্রিয়তা পেলেও এটা কিন্তু তাঁর আসল নাম নয়। তাঁর জন্মের পর মা-বাবা তাঁর নাম দিয়েছিলেন ঝমঝুম। রচনা নামটি তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে পা দেওয়ার পর পান। ১৯৯৩ সালে যখন রচনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ‘দান প্রতিদান’ সিনেমার হাত ধরে তখন থেকেই তিনি এই নামে পরিচয় পেতে থাকেন। কিন্তু কেন নাম বদলাতে হয়েছিল রচনাকে?
রচনা তাঁর কেরিয়ার শুরু করার আগে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেই প্রতিযোগিতায় তিনি ফাইনালে জিততে না পারলেও টলিউডের দরজা খুলে যায় তার জন্য। পরিচালক সুখেন দাস ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবার বন্ধু। বন্ধু কন্যাকে সিনেমাতে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনিই রচনার নতুন নামকরণ করেন। সুখেন দাস মনে করেছিলেন যে ঝুমঝুম নামটা একেবারেই বেমানান। অনেক ভেবেচিন্তে তিনি ঝুমঝুমের জন্য ‘রচনা’ নামটি বেছে নেন। ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ থেকে নামটি নিয়েছিলেন তিনি। পরে এই নামেই টলিউড এবং ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়েছেন রচনা।
এই ঝুমঝুম নামটা আর কোথাও ব্যবহার করেন না অভিনেত্রী। রচনার আসল নামটা এখন শুধু কিছু অফিসিয়াল কাগজপত্রেই রয়ে গিয়েছে। তিনি লক্ষ লক্ষ দর্শকের কাছে রচনা নামেই পরিচিত। ওড়িয়া সিনেমা থেকে বাংলা ছবি, সব ভাষাতেই তিনি হিট ছবি দিয়েছেন দর্শকদের। তবে এখন রচনা বড়পর্দা থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেক বছর হল। ছোটপর্দায় দিদি নম্বর ১-এই তাঁকে একমাত্র দেখা যায়। এই শোয়ের জন্য বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন রচনা।
তাঁর রাজনীতিতে আসা নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শো-তে আসার পর থেকেই এই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। অবশেষে রবিবার তৃণমূলের ব্রিগেড মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করা হয় যে রচনা হুগলি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন। আর তাঁর সঙ্গে লড়াই হবে আর এক অভিনেত্রূ তথা বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।