বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। খুব ছোট থেকেই সিনেমায় হাতেখড়ি অভিনেতার। টলিউড ছাড়িয়ে বলিউডেও যিনি নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন। গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবি তিনি করছেন না। এখন একেবারে অন্য ধারার ছবিতেই তিনি কাজ করতে বেশি ভালোবাসেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ইন্ডাস্ট্রিতে কিন্তু বুম্বা দা নামেই পরিচিত। এটাই তাঁর ডাকনাম। কিন্তু কীভাবে এল এই নাম? এক সাক্ষাৎকারে নিজেই খোলসা করেছেন সেই কথা।
প্রসেনজৎ এক সাক্ষাৎকারে তাঁর এই বুম্বা নাম প্রসঙ্গে বলেন, তিনি ছোট্টবেলা থেকেই আওয়াজপ্রেমী। অনেক বাচ্চাই যেমন হয়! ঢিক-ঢাক-ঢিশুম-ঢিশুম। প্রসেনজিৎ বলত ‘বুম’ ‘বুম’। তার বলার শেষে তার বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলত, ‘বা’। সেই থেকেই ছেলের নাম হয়ে গেল বুম্বা। শিশুশিল্পী হিসাবে প্রসেনজিতের প্রথম ছবি ছোট্ট জিজ্ঞাসা-তে এই বুম্বা কথাটা পাঞ্চলাইন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নতুন তথ্য জোগালেন, মা ডাকত, বুম। দাদা-পিসিদের কাছে তিনি বুড়ুন।
প্রসেনজিৎসময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যেভাবে পাল্টে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন, তা এক কথায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রশংসিত। বাংলা ছবির পশাপাশি ওয়েব সিরিজেও হাতেখড়ি করে ফেলেছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ জুবিলি সিনেপাড়ায় বেশ চর্চিত। প্রথম ওটিটিতে হাতেখড়ি হয় বুম্বাদার। তবে বাংলা নয়, হিন্দি এই সিরিজেই আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। প্রসেনজিৎ কোনওদিনই কলকাতা ছাডতে চাননি। বরং টলিউেই নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন অভিনেতা।
একসময় বণিজ্যিক ছবিতে চুটিয়ে অভিনয় করলেও এখন একেবারে অন্য ধারার ছবিতে কাজ করছেন প্রসেনজিৎ। বয়স এমনভাবেল ধরে রেখেছেন যে তাঁকে দেখে মনে হয় না তাঁর বয়স ৬১। শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রসেনজিতের চলে কড়া ডায়েট। ভাত একেবারেই খান না তিনি। খুব মেপে খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন বুম্বা দা। এবারের কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে দেখা যায়নি প্রসেনজিৎকে। টলিপাড়ার যাবতীয় সমস্যা একরকমভাবে সমাধান করেন প্রসেনজিৎই।