ইদ হোক বা যে কোনও উৎসব সলমন খানের বাড়ির এলাহি দাওয়াত যিনি খেয়েছেন, তিনি আজীবন ভুলতে পারেন না। বলিউডের সল্লু মিঞা ও তাঁর পরিবার সব সময়ই কোনও না কোনও কারণে খবরের শিরোনামে থাকেন। সম্প্রতি খান পরিবারকে দেখা গিয়েছে গণেশ পুজোয়। আর তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। যদিও সলমন ও তাঁর পরিবার সর্বদাই সব ধর্মের উৎসবে অংশ নিয়ে থাকেন। এরই মাঝে চিত্রনাট্যকার ও সলমনের বাবা সেলিম খান এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কখনও গোমাংস খান না।
বর্ষীয়ান লেখক গোমাংসকে সবচেয়ে সস্তার মাংস বলে বর্ণনা করার পাশাপাশি তাঁর ও পরিবারের বিশ্বাস ও ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ নিয়েও কথা বলেন। সলমন খানের বাবা বলেন, অধিকাংশ মুসলিম গোমাংস খায় কারণ এটা খুবই সস্তায় পাওয়া যায়। এরপরই তিনি এও জানিয়েছেন যে তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে গোমাংস ছুঁয়েও দেখেন না। এক সংবাদমাধ্যমকে সেলিম খান বলেন, মুসলিম হয়েও আমাদের পরিবার কখনও গোমাংস খায়নি। ইন্দোর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমরা এই রীতি মেনে চলেছি। বেশির ভাগ মুসলিম গোমাংস খান, কারণ এটি সবচেয়ে সস্তা মাংস। কেউ কেউ তো এটি পোষা কুকুরের জন্যও কিনে থাকেন।
সেলিম খান বলেন, পয়গম্বর মহম্মদ বলেছেন, গরুর দুধ মাতৃদুগ্ধের বিকল্প, অত্যন্ত উপকারী। গরুকে হত্যা করা উচিত নয় এবং গোমাংস নিষিদ্ধ। ৮৯ বছরের লেখক বলেন, পয়গম্বর মহম্মদ সব ধর্ম থেকেই ভাল জিনিস গ্রহণ করার কথা বলেছেন। যেমন শুধুমাত্র হালাল মাংস খাওয়ার এই রীতি, যেটা ইহুদিদের কাছ থেকে নেও, যারা এটাকে কোশার বলে। তিনি দাবি করেছেন যে প্রতিটি ধর্মই ভালো এবং আমাদের মতোই তিনিও একজন সর্বোচ্চ শক্তিতে বিশ্বাস করেন।
সলিম খান জানান, সালমাকে বিয়ে করার আগেই তিনি হিন্দু উৎসব পালন করতেন। বলেন, ‘আমার জীবন হিন্দুদের সঙ্গে কাটিয়েছি— পুলিশ স্টেশন থেকে কলোনি, সর্বত্র হিন্দু উৎসব উদ্যাপন করেছি।’ তাই তাঁর বিয়ে নিয়ে পরিবারের কোনও আপত্তি ছিল না। তিনি হিন্দু ও মুসলিম— উভয় রীতিতে বিবাহ করেন, যা ছিল সাংস্কৃতিক মিলনের প্রতীক। প্রতি বছরের মতো এই বছরও সলমনের বাড়িতে গণেশ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।