Advertisement

World Music Day 2022 : রবীন্দ্র-নজরুলের তুলনায় পিছিয়ে পঞ্চকবির বাকিরা? শিল্পীরা যা বললেন...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore), নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam), দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (Dwijendralal Roy), অতুলপ্রসাদ সেন (Atul Prasad Sen) ও রজনীকান্ত সেন (Rajanikanta Sen)। বাঙালির প্রাণের এই ৫ কবি, কথায়-সুরে-ছন্দে বিশ্বের দরবারে গর্বিত করেছেন গোটা জাতিকে। যদিও অনেকেই বলেন রবিঠাকুর বা কাজী সাহেবের মতো নাকি প্রচার পাননি বাকি তিনজন।

পঞ্চকবি
প্রীতম ব্যানার্জী
  • কলকাতা,
  • 21 Jun 2022,
  • अपडेटेड 8:04 AM IST
  • বাঙালির সম্পদ পঞ্চকবির গান
  • প্রত্যেকেই কি একই উচ্চতায় পৌঁছেছেন?
  • যা বললেন সঙ্গীত শিল্পীরা...

এই বঙ্গের মাটিতে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছেন বহু কবি-সাহিত্যিক। তাঁদের সৃষ্টিতে বারে বারেই সমৃদ্ধ হয়েছে সাহিত্যজগৎ। কেউ কেউ আবার সঙ্গীতের দুনিয়াতেও রেখে গিয়েছেন নিজেদের অসামান্য অবদান, যা বাঙালির চিরকালীন সম্পদে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমেই উঠে আসে পঞ্চকবির (Pancha Kabir Gaan) প্রসঙ্গ। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore), নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam), দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (Dwijendralal Roy), অতুলপ্রসাদ সেন (Atul Prasad Sen) ও রজনীকান্ত সেন (Rajanikanta Sen)। বাঙালির প্রাণের এই ৫ কবি, কথায়-সুরে-ছন্দে বিশ্বের দরবারে গর্বিত করেছেন গোটা জাতিকে। যদিও অনেকেই বলেন রবিঠাকুর বা কাজী সাহেবের মতো নাকি প্রচার পাননি বাকি তিনজন। সত্যিই কি তাই? আর যদি তাই হয়, তাহলে কেন?

'শ্রোতারা এখনও ভাল গান শুনতে চান'

এই বিষয়ে সঙ্গীত শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় (Riddhi Bandyopadhyay) বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, 'এনাদের গান নষ্ট হওয়ার পেছনে শিল্পীদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমরা নিজেরাই হয়ত সেই জায়গায় পৌঁছতে পারিনি, আর সেই অক্ষমতাটাকে শ্রোতাদের ওপরে চাপিয়ে দিই।' এছাড়া মিডিয়া ও অনুষ্ঠান অর্গানাইজারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বর্তমানে গোটা স্টেটাসটাই বদলে গিয়েছে, তবে ভাল জিনিস শ্রোতারা এখনও শুনতে চান।    

'সচেতন হতে হবে মানুষকে'

প্রায় একই ধরনের কথা শোনা গেল আরও এক সঙ্গীত শিল্পী রাজকুমার রায়ের (Rajkumar Roy) মুখেও। শিল্পী বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের আলোয় কোথায় যেন এনারা ম্লান হয়ে গিয়েছেন। আকাশে চন্দ্র সূর্য যদি থাকে, সেখানে একই পরিমান আলো থাকা সত্ত্বেও তারারা শুধু মিটমিট করেই রয়ে গিয়েছে কেবলমাত্র দূরত্বের কারণে।' তাঁর মতে, কাব্যিকগুণে বা সুরের দিক থেকে রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলের গানের তুলনায় কোনও অংশে পিছিয়ে না থাকলেও মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র প্রচারের অভাবে। এছাড়া যাঁরা রবীন্দ্রসঙ্গীত (Rabindra Sangeet) বা নজরুলগীতি (Nazrul Geeti) শিল্পী তাঁরাও সেভাবে পঞ্চকবির বাকি তিনজনের গান কণ্ঠে তুলে না নেওয়ায়, সেগুলি তুলনামূলকভাবে মানুষের কাছে কম পৌঁছেছে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলের গানের মতো সঠিক পরম্পরা, অর্থাৎ উপযুক্ত গুরুর অভাবও এই গানগুলির পিছিয়ে পড়ার একটি কারণ বলে মনে করেন রাজকুমারবাবু। তবে তাঁর মতে, এখনও সময় আছে, মানুষ যদি একটু সচেতন হন, তাহলে কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছতে পারে এই তিনকবির সৃষ্টি। 

Advertisement

আরও পড়ুন'মহীনের ঘোড়াগুলি'-র গৌতম একসময় ছিলেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ 

আরও পড়ুন'গান গুলো রেখো ভাল', এবার নচিকেতার গলায় বাংলা গজল


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement