ইয়ট সফরে গিয়ে অঘটন। স্কুবা করতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের। ঘটনা যেন এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনুরাগীরা। তাঁর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, সেই নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছে।
গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যু নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। জানালেন, এই মৃত্যুতে অপরাধমূলক কোনও চক্রের ইঙ্গিত নেই। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ, জলে ডুবে যাওয়া।
জুবিন গর্গ কীভাবে মারা গেলেন?
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, "সিঙ্গাপুর সরকারের জারি করা মৃত্যু শংসাপত্রে যেমন উল্লেখ আছে, গায়ক জুবিন ডুবে মারা গেছেন।" জুবিনের মরদেহ ২০ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লিতে পৌঁছয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর অসমে আনা হয়।
গায়কের মরদেহ আসামের গুয়াহাটিতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই ভক্তদের সমুদ্র রাস্তায় ভিড় করে, সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসে। তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ অসহায় ছিলেন। তিনি গায়কের মরদেহ জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। আসাম মন্ত্রিসভা জুবিনের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে।
অসমবাসীর প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুতে রাজ্যজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রয়াত শিল্পীর সম্মানে সরকার রাজ্যজুড়ে বিশেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে। তাঁর সৃষ্টিকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য নেওয়া হবে আলাদা উদ্যোগ।
জুবিন গার্গ কেবল অসমের নয়, সারা ভারতের সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাঁর হঠাৎ প্রয়াণে থমকে গিয়েছে অসমের সাংস্কৃতিক পরিসর। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট ঘোষণা, "এটি নিছকই দুর্ঘটনা, আর কোনও রকম ষড়যন্ত্র নেই এই মৃত্যুর পেছনে।"
এর আগে জানা গিয়েছে, ইয়টে ছিলেন ১৮ জন। তার মধ্যে ছিলেন সিঙ্গাপুরের ১১ জন অসমিয়া এবং জুবিনের টিমের আরও ৫ জন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২ জন ক্রু মেম্বার। সেন্ট জন্স এবং লাজারুস আইল্যান্ডের দিকে রওনা দিয়েছিল ইয়টটি। লাজারুস আইল্যান্ডে পৌঁছে অ্যাকোয়া অ্যাডভেঞ্চার শুরু করেন সকলে। ক্রুয়ের তত্ত্বাবধানেই শুরু হয় অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস।