Advertisement

Zubin Garg: ‘আমার কোনও ধর্ম নেই...’, ব্রাহ্মণ হয়েও পৈতে ত্যাগ করেছিলেন জুবিন, কারণ কী?

জুবিন বরাবরই ছক ভাঙতে ভালোবাসতেন। ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি ত্যাগ করেছিলেন পৈতে। নিজেই বলেছিলেন, 'আমার কোনও ধর্ম নেই, কোনও জাত নেই, আমার কোনও ভগবান নেই। আমি মুক্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা। আমি মানুষ, এটাই আমার পরিচয়।' এই বক্তব্য তাঁকে একাধিক বিতর্কে জড়ালেও শ্রোতারা তাঁর সাহসী অবস্থানকে সম্মান জানিয়েছেন।

জুবিন গর্গ।-গ্রাফিক্সজুবিন গর্গ।-গ্রাফিক্স
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 24 Sep 2025,
  • अपडेटेड 7:25 PM IST
  • অনেকেই হয়ত জুবিনকে চিনেছেন ‘ইয়া আলি’ গায়ক হিসেবে।
  • কিন্তু জুবিন গর্গ ছিলেন বহুভাষিক শিল্পী।

অনেকেই হয়ত জুবিনকে চিনেছেন ‘ইয়া আলি’ গায়ক হিসেবে। কিন্তু জুবিন গর্গ ছিলেন বহুভাষিক শিল্পী। অসমীয়া, বাংলা-সহ ৪০টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর আকস্মিক প্রয়াণ গোটা অসমকে স্তব্ধ করে দেয়। প্রিয় শিল্পীর বিদায়ে রাস্তায় নেমে আসে লাখো মানুষ, কেউ কাঁদছেন, কেউ শোক প্রকাশে দোকান বন্ধ রেখেছেন। যেন ঘরের ছেলেকে হারিয়েছে অসম।

জুবিন বরাবরই ছক ভাঙতে ভালোবাসতেন। ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি ত্যাগ করেছিলেন পৈতে। জুবিন বলতেন, 'আমার কোনও ধর্ম নেই, কোনও জাত নেই, আমার কোনও ভগবান নেই। আমি মুক্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা। আমি মানুষ, এটাই আমার পরিচয়।' এই বক্তব্য তাঁকে একাধিক বিতর্কে জড়ালেও শ্রোতারা তাঁর সাহসী অবস্থানকে সম্মান জানিয়েছেন।

বলিউডে একের পর এক হিট গান গাওয়ার পরও মুম্বই ছেড়ে ফিরে এসেছিলেন অসমে। কারণ, শিকড়ের টান তাঁর কাছে ছিল অটুট। শুধু সংগীত নয়, সমাজ ও রাজনীতিতেও তাঁর অবস্থান ছিল স্পষ্ট। নাগরিকত্ব আইন (CAA) থেকে শুরু করে ডিটেনশন ক্যাম্প, প্রায় সব ক্ষেত্রেই তিনি সরব ছিলেন।

কোভিড অতিমারির সময়ও প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর মানবিক দিক। গুয়াহাটির নিজের দোতলা বাড়ি তিনি খুলে দিয়েছিলেন আক্রান্তদের জন্য। নিজেকে কখনও কেবল গায়ক হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখেননি, ছিলেন মানবিক কণ্ঠস্বরও। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি গান যেমন গেয়েছেন, তেমনি গেয়েছেন মানুষের অধিকারের সুর। তাই জুবিন গর্গকে শুধু গায়ক নয়, সমাজসচেতন শিল্পী হিসেবেও মনে রাখবে অসম এবং দেশ।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement