সনাতন ধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা। ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে মূলত এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে রথযাত্রার উৎসব পালিত হয় পুরী,মাহেশ,ইস্কনের মন্দির সহ আরও ভিন্ন স্থানে।
এবছর রথযাত্রার শুভ তিথিতে মাহেশের মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন খোদ জগন্নাথদেব ও বিষ্ণুপ্রিয়া। অবাক হচ্ছেন? আসলে কালার্স বাংলার ভক্তিমূলক ধারাবাহিক 'জয় জগন্নাথ'-র টিম পৌঁছেছিলেন সেখানে।
পর্দার জগন্নাথ ও বিষ্ণুপ্রিয়াকে দেখে দারুণ উৎসাহী হয়ে ওঠেন সেখানে উপস্থিত সমস্ত ভক্তকুল। উপস্থিত অভিনেতাদের ভালোবাসায় ও শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলেন তাঁরা। পর্দার জগন্নাথদেব ও বিষ্ণুপ্রিয়া অর্থাৎ অভিনেতা বিপুল পাত্র ও তিতিক্ষা দাস এদিন ছিলেন একেবারে নিজেদের লুকেই।
বিপুল পাত্র জানালেন, "ভারতবর্ষ ছাড়া দেশের বাইরেও জগন্নাথদেবের কোটি কোটি ভক্ত রয়েছেন। বাংলায় কীভাবে জগন্নাথদেবের আবির্ভাব হয়েছে, তা শ্রী চৈতন্যদেবের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। জগন্নাথই একমাত্র সচল ভগবান যার জ্বর আসে, জ্বরের ওষুধ দেওয়া হয়। আমি গতকাল যখনই জানতে পারি যে শ্রীরামপুরে যাচ্ছি, খুব আনন্দ হয়। জগন্নাথদেবের এত অগণিত ভক্তের সঙ্গে দেখা হবে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারব, হরে কৃষ্ণ গানের সঙ্গে তাল মেলাতে পারব...এই সবটা মিলিয়ে দারুণ উৎসাহী ছিলাম। আজও অগণিত ভক্ত এসেছিলেন, আমরা জগন্নাথদেবের পুজো করেছি, প্রসাদ গ্রহণ করেছি, সবটা মিলিয়ে আমার অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এখানকার মানুষের আতিথেয়তা এতটা ভাল, যে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ সকলের কাছে।"
তিতিক্ষা দাস বললেন, "শ্রীরামপুরে মাহেশের মন্দিরে গিয়ে জগন্নাথদেবের এত ভক্ত দেখে মন শান্ত হয়ে গেছে। খুব ভাল লাগছে। জগন্নাথদেবের অগণিত ভক্ত সকাল থেকে এখানে কৃষ্ণ নাম করছেন। পুজোর আয়োজন ও আতিথেয়তা দারুণ। আমরাও পুজো দিলাম। ভোগ- প্রসাদ গ্রহণ করলাম, যার স্বাদ অসাধারণ। একেবারে অন্যরকম অনুভূতি। সব মিলিয়ে ভীষণ ভাল লাগছে।"
ধারাবাহিকের বর্তমান ট্র্যাক অনুযায়ী, রথে চৈতন্য পৌঁছবে নীলাচলে। সেখানে অরাজকতা বেড়েছে, ভিন্ন ধর্ম ও ছোট জাতিদের অত্যাচার করা হচ্ছে, এমনকি রথের রশি অবধি ছুঁতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের।
সেখানে নিমাই পৌঁছায় এবং রথের চাকা আটকে যায়। তিনি বলেন, ঈশ্বর সবার জন্য। এরপর সকলকে রথের রশি ধরতে বলেন তিনি। এরপর রথ আবার চলা শুরু হয় দেখে অবাক সকলে।
গত নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় ভক্তি ও প্রেমের গাথা 'জয় জগন্নাথ'। এই ভক্তিমূলক ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে সুরিন্দর ফিল্মসের ব্যানারে। পর্দায় জগন্নাথদেব ও শ্রীকৃষ্ণ রূপে ইতিমধ্যে সকলের মন জয় করেছেন বিপুল পাত্র।
জগন্নাথ ধর্মতত্ত্ব, কৃষ্ণের কাহিনিকে একটি অন্তর্নিহিত ধর্মতত্ত্বের সঙ্গে মিলিয়ে দেয় এবং জ্ঞান, প্রেম এবং নিষ্ঠা অর্জনের জন্য সব কিছুতে ঈশ্বরকে উপলব্ধি করার আহ্বান জানায়।