বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের মনে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করছেন 'মিঠাই' ধারাবাহিকের চরিত্ররা। যার মধ্যে 'উচ্ছেবাবু' ওরফে সিদ্ধার্থ মোদক অর্থাৎ অভিনেতা আদৃত রায়ের জনপ্রিয়তার মাত্রা একেবারে অন্য পর্যায়। সেই প্রমাণ মেলে অভিনেতার একাধিক ফ্যান ক্লাবের দিকে চোখ রাখলেই।
২৫ মে আদৃতর জন্মদিন। আর বিশেষ দিন উপলক্ষে ফ্যানেদের জন্য আগেই বার্তা দিয়েছেন অভিনেতা। ভরতলক্ষ্মী স্টুডিয়োতে এদিন অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। যা দেখা মাত্রই একদিক যেমন আনন্দে আত্মহারা আদৃতপ্রেমীরা, অন্যদিকে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটিজেনদের একাংশ। বার্থডে বয়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকেই নানা রকম পোস্ট করছেন। তবে সকলেরই চোখ ছিল আরেকজনের প্রোফাইল বা পেজের দিকে।
বিয়ের পর বরের প্রথম জন্মদিন। তাই নিঃসন্দেহে দিনটা বাড়তি স্পেশাল। অবশেষে জন্মদিনের দুপুরে আদৃতর নতুন বউয়ের তরফ থেকেও এল বিশেষ পোস্ট। বৌভাতের দিনের দুটি আদুরে ছবি শেয়ার করে কৌশাম্বী লিখেছেন, "আমার আত্মার সঙ্গী এবং বেস্ট ফ্রেন্ডকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। মনে রেখো যে জীবনের সেরাটি এখনও আসা বাকি...।"
গত বছর দু'জনে সরাসরি স্বীকার না করলেও, টেলিপাড়ায় প্রায় 'ওপেন সিক্রেট' ছিল কৌশাম্বী- আদৃতর প্রেমের কথা। জল্পনা উস্কে বার্থডে বয়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছিলেন তাঁর পর্দার 'দিদিয়া'। মধ্য রাতে তাঁর জন্য বিশেষ আয়োজন করেছিলেন কৌশাম্বী। ছবিতে দেখা যায়, আদৃতর একদিকে মা এবং অন্য দিকে কৌশাম্বীকে। তাঁর গায়ে জড়ানো জন্মদিন লেখা স্যাশে। মুখে একগাল হাসি। ক্যাপশনে লেখা, "যারা তোমায় চেনে না তাদেরও যেন ভাল হয়। শুভ জন্মদিন আদৃত। অনেক অনেক শুভ কামনা... অনেক দূর এগিয়ে যাও, এই কামনা।"
সদ্য হানিমুন থেকে ফিরেছেন নব দম্পতি। কৌশাম্বীর শেয়ার করা হানিমুনের ছবিতে দেখা যায়, কোনওটাতে আদৃত তাঁর হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। আবার কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় একটি হোটেলে পোষা কুকুরকে আদর করছেন পর্দার 'সিদ্ধার্থ'। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে ওয়াটার স্পোর্টসে মেতেছেন জুটি। সমুদ্র- সৈকতে রোম্যান্টিক ক্যান্ডেল- লাইট ডিনার করে তাঁরা কাটাচ্ছেন কোয়ালিটি টাইম। আদৃত- কৌশাম্বী দু'জনেই ছিলেন বীচওয়্যারে। কৌশাম্বীর হাতে রয়েছে শাঁখা- পলা, নোয়া। হানিমুন ডেস্টিনেশনের উল্লেখ না করলেও, ঝলক দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা গোয়াতে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ জল্পনার অবসান হয়ে গত ৯ মে গাঁটছড়া বেঁধেছেন আদৃত রায় ও কৌশাম্বী চক্রবর্তীর। নেটমাধ্যমে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে বিয়ের নানা অনুষ্ঠানের মুহূর্ত। হাওড়ার একটি নামী ব্য়াঙ্কোয়েটে বসেছিল জুটির বিয়ের আসর। সাজে ছিল সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। কনে নিজের জন্যে এদিন বেছে নিয়েছিলেন লাল রঙের বেনারসি। সঙ্গে রয়েছে সোনালী মুকুট, কপালে ছোট চন্দনের টিপ, গা ভর্তি সোনার গয়না। অন্যদিকে বর আদৃত পরেছিলেন ধুতি ও তসরের পাঞ্জাবি। বিয়ে- রিসেপশন দু'দিনই কার্যত বসেছিল চাঁদের হাট। হাজির ছিলেন 'মিঠাই' ও 'ফুলকি' ধারাবাহিকের সদস্যরা।