করোনার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। হাতে কাজও নেই। তাই অবশেষে আত্মহত্যার কথাই ভাবেন বাংলা টেলিভিশনের অভিনেতা শুভ চক্রবর্তী। মঙ্গল চণ্ডী এবং মনসা-র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছএন শুভ। লাইভে শুভ জানান, তাঁর হাতে কোনও কাজ নেই। টানা লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। গত বছর বাবাকে হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে পড়েন তিনি।
'আই কুইট' লিখে লাইভে এসে বসেন শুভ। ফ্যানদের সঙ্গে স্বাভাবিক স্বরেই কথাবার্তা বলছিলেন তিনি। গিটার বাজিয়ে গানও করেন। তার পর তিনি এক এক করে সব খোলসা করেন। লাইভে শুভ বলেন, 'প্রত্যেক সংসারেই সমস্যা রয়েছে। আমার মা বলবেন আমার ছেলে ৩১ বছর বয়সে বেকার। বাবাকে গত বছর হারিয়েছি। যখন কেউ ডিপ্রেশনে চলে যায় তখন তাঁর বাঁচার ইচ্ছেটাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি দেখানোর এ সব করছি না, সত্যিই ঘুমের ওষুধ খাচ্ছি। ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়া, হাতের শিরা কেটে ফেলা আমি এ সব পছন্দ করি না। শেষ পর্যন্ত ঘুমের ওষুধে মুক্তি পথ খুঁজে পেলাম। যাঁদের হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাঁদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বেশি ঘুমের ওষুধ খেলে।'
একটি স্ট্রিপের সমস্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর তিনি আবার বলেন, 'যদি বেঁচে থাকি তবে আবার একটা লাইভ করব।' তার পরই সংযোগ বন্ধ করে দেন। শুভ-র একজন ফলোয়ার দ্রুত থানায় খবর দেন। পুলিশও লাইভ লোকেশন ট্র্যাক করে দ্রুত শুভ-র বাড়িতে পৌঁছায়। বাড়িতে মা এবং বোন থাকলেও তাঁরা জানতে পারেননি দরজা বন্ধ করে শুভ কী করছেন। আপাতত বিপদ কেটে গিয়েছে তাঁর।