গোটা বাংলা তাঁকে দিদি নম্বর ওয়ান (Didi No. 1) বলেই সম্বোধন করে। দীর্ঘ দিন ধরে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় শো সঞ্চালনা করছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee). সম্প্রতি তিনি তাঁর পোশাকের কালেকশন লঞ্চ করেছেন। সোশাল মিডিয়ায় নিজের পেজ থেকে তা নিয়ে লাইভেও আসেন। তবে হয়তো এটা ভাবতে পারেননি যে এর জন্য তাঁকে ট্রোল করা হতে পারে। তবে বাস্তবে হল তাই।
নিজস্ব ফ্যাশন কালেকশন সদ্য লঞ্চ করেছেন রচনা। শুরু করেছেন নিজস্ব বুটিক। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে নিজে শাড়ি দেখিয়েছেন। তাঁকে সাহায্য করেছেন সহকর্মীরা। কী ভাবে অনলাইন কেনাকাটা করতে পারবেন, তার পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ অভিনেত্রী, সঞ্চালিকার পাশাপাশি এ বার ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত হবেন তিনি। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন অসংখ্য মানুষ।
কারও প্রশ্ন, অভিনয়, সঞ্চালনার পর হঠাৎ করে নতুন কাজ কেন শুরু করলেন তিনি? কারও মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসা করে নেমেছেন। কেউ বা মনে করছেন, এ ভাবে সেলেব্রিটিরা বুটিক খুলে বসলে, যাঁরা ছোট ব্যবসায়ী তাঁদের ক্ষতি হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত এ সব ট্রোলিংয়ের প্রকাশ্য কোনও জবাব দেননি রচনা। তবে ট্রোলিং তাঁর কাছে কোনও নতুন বিষয় নয়। এর আগেও অন্য একটি টিভি শো সঞ্চালনা করার সময় তাঁখে নিয়ে কু-কথার ঝড় উঠেছিল সোশাল মিডিয়ায়। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কুৎসা ছড়ানো হয়ে সে সময়। সামাপ্রতিক কালে এমন বহু উদাহরণ পাওয়া যাবে যেখানে সেলিব্রিটিদের কারণে অকারণে ট্রোল করা হয়েছে। তালিকাটি বেশ লম্বা। সেখানে নতুন করে যুক্ত হলেন রচনা, তা-ও সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত কারণে।
দাম্পত্য বিচ্ছেদের পর ছেলে প্রণীলকে একার হাতে মানুষ করেছেন। পাশাপাশি সামলেছেন কেরিয়ার। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর হল, ছবির জগৎ থেকে অনেকটা দূরে রচনা। অনেক বেছে কাজ করেন এখন। আপাতত টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে প্রতিদিন দেখেন দর্শক। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা এসে তাঁদের লড়াইয়ের গল্প শোনান। রচনাও তাঁদের গল্পের শরিক। তাঁদের সাহস দেন প্রতিনিয়ত।