Advertisement

ধারাবাহিকে আত্মহত্যার চেষ্টা দেখানো নিয়ে প্রবল সমালোচনা নেটিজেনদের

অনেক অনুরাগীরাই বলছেন, দেশে এমনিতেই প্রতিদিন বহু মানুষ হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সেখানে নিত্যদিনকার টেলিভিশন শোতেও যদি এমন ইন্ধন থাকে, তবে এর পরিণতি কী হতে পারে?

রেটিংয়ের বিচারে খড়কুটো এখন ১ নম্বরে। ছবি ফোসবুকের সৌজন্যে।
Aajtak Bangla
  • ,
  • 23 Feb 2021,
  • अपडेटेड 8:57 PM IST
  • দেবলীনার পর গুনগুনের আত্মহত্যার চেষ্টা দেখে রীতিমতো হতভম্ব এবং বিরক্ত নেটপাড়া
  • দেশে এমনিতেই প্রতিদিন বহু মানুষ হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন
  • টেলিভিশন শোতেও যদি এমন ইন্ধন থাকে, তবে এর পরিণতি কী হতে পারে?

জনপ্রিয় ধারাবাহিক দেখতে প্রত্যেক সন্ধ্যায় বাঙালির ড্রইং রুম গমগম করে। ডেইলি সোপের চরিত্ররা একপ্রকার যেন ঘরের মানুষ হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিন যাদের কীর্তিকলাপ না দেখলে দিনটা অসম্পূর্ণ। এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা অধীর আগ্রহে নিজের পছন্দের ধারাবাহিক দেখেরা জন্য বসে থাকেন। সম্প্রতি সেই ধারাবিকই সমালোচনার মুখে পড়ছে।

কথা হচ্ছে খড়কুটো ধারাবাহিকের। দেবলীনার পর গুনগুনের আত্মহত্যার চেষ্টা দেখে রীতিমতো হতভম্ব এবং বিরক্ত নেটপাড়া। অনেক অনুরাগীরাই বলছেন, দেশে এমনিতেই প্রতিদিন বহু মানুষ হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সেখানে নিত্যদিনকার টেলিভিশন শোতেও যদি এমন ইন্ধন থাকে, তবে এর পরিণতি কী হতে পারে? সুকল্যাণের বিয়ের পর দেবলীনা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পারিবারিক অশান্তির জেরে গুনগুন হঠাৎ এমন চরম পথ বেছে নেবে এমনটা ভাবতে পারেননি কোনও দর্শকই।

বারবার কেন আত্মহত্যার চেষ্টা বা আত্মহত্যা কথাটি ঘুরে ফিরে সিরিয়ালে আসছে তা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বহু মানুষ। এক দর্শক গল্পের লেখককে কাঠগড়ায় তুলে জিজ্ঞাসা করেছেন, 'আচ্ছা যে স্টোরি লিখছে তার কিএতটুকু জ্ঞান নেই যে সুইসাইড কথাটা শুনলে বা ওই জাতীয় কিছু দেখলে কত মানুষ ট্রিগার্ড হয়?! তাও পর পর দুটো দেখানো হচ্ছে এখানে!' সঙ্গত প্রশ্ন কোনও সন্দেহ নেই। লকডাউনে কত মানুষ কাজ হারিয়ে বা রোজগার হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত তার ঠিক নেই। সেখানে এমন দৃশ্যে চরম পথ বেছে নিতে উৎসাহিত করবে না তো?

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement