টেলিভিশনের চরিত্রগুলি হয়ে ওঠে দর্শকদের বাড়ি কিংবা একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। সেরকমই বলা যায়, বাঙালির ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পেরেছিল বাহামণি- অর্চি বাবুরা। ২০১১-এর অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রায় ৩ বছর চলেছিল 'ইষ্টি কুটুম' (Ishti Kutum) ধারাবাহিকটি। স্টার জলসার এই মেগা জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল। বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) দর্শকদের জন্য রয়েছে এক দারুণ খবর। প্রায় বছর আটেক পর, ফিরছে 'ইষ্টি কুটুম'।
বাহা শাড়ি থেকে, পলাশবনির গ্রামের উপভাষা, সবটাই সে সময় ছিল ট্রেন্ড। এমনকী প্রচুর মিম, জোকসও ঘোরে নেটমাধ্যমে। সব মিলিয়ে, এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছিল 'ইষ্টি কুটুম'। যদিও বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমের সুবাদে, পুরানো সিরিয়াল ফের দেখার সুযোগ মেলে। তবু যারা আজও টেলিভিশনের দর্শক, তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি আনন্দের খবর। আগামী ৩ জুলাই থেকে সোম থেকে রবিবার, রোজ দুপুর ১২.৩০ মিনিটে ফের সম্প্রচারিত 'ইষ্টি কুটুম'।
পারিবারিক এই ড্রামার গল্প লিখেছিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay)। পরিচালনা করেছিলেন শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুজিত পাইন। ম্যাজিক মোমেন্টসের ব্যানারে তৈরি হয়েছিলে এই মেগা। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রণিতা দাশ ( Ranieeta Dash) ও ঋষি কৌশিক (Rishi Kaushik)। পরে অবশ্য কিছু সমস্যা জন্য ধারাবাহিক ছাড়েন রণিতা। সে সময় তাঁর জায়গায় বাহা চরিত্রে দেখা যায় সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে। এই মেগাতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথা ধূসর চরিত্র, কমলিকার ভূমিকায় দেখা যায় অঙ্কিতা চক্রবর্তীকে। এছাড়াও ছিলেন টলিপাড়ার একঝাঁক চেনা মুখ।
প্রসঙ্গত, বাহা চরিত্রের মাধ্যমে রাতারাতি তারকা হয়েছিলেন রণিতা। কিন্তু হঠাৎই 'ইষ্টিকুটুম' থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ধারাবাহিক থেকে সরে যাওয়ার পরে রণিতাও যেন হারিয়ে গিয়েছেন।