দীর্ঘদিন টিআরপি তালিকায় স্থান ওঠানামা করার পর, গত সপ্তাহে শীর্ষ স্থানে থেকে নেমে দ্বিতীয় 'মিঠাই'। দর্শক মনে নিজের জায়গা ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টিম 'মিঠাই'। গল্পে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আসছে নতুন মোড়। মনোহরার সদস্যদের উপর একের পর এক ঝড় বইছে। গত সপ্তাহেই আরেক বড় ট্যুইস্ট এসে, ফের বিপাকে মোদকরা।
ওমি আগরওয়াল মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের প্রয়াণের বদলা নিতে দেশে ফিরেছে আদিত্য আগরওয়াল। তার একমাত্র লক্ষ্য সিড- মিঠাইয়ের ক্ষতি করা। প্রথমে সে চেষ্টা চালায় যাতে ওমিকে মেরেছে সিড- এটা প্রমাণ করা যায়। কিন্তু সে চেষ্টা সফল না হওয়ায়, নতুন ছক কষতে শুরু করে আদিত্য। ধারবাহিকে এন্ট্রি হয় কাউন্সিলর -'ওয়ান অ্যান্ড অনলি' প্রমিলা লাহার।
মনোহরার জমি নিয়ে সেখানে ফ্ল্যাট বানানোর প্রস্তাব দেয় প্রমিলা লাহা। মোদকরা রাজি না হওয়ায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সে। মনোহরা থেকে উদ্ধার হয় তাল তাল সোনা। পুলিশ বাড়ি সিল করে দেয় এবং সকলকে থাকতে হয় ভাড়া বাড়িতে। বিপদ আসার আগেই মিঠাই প্রস্তাব দিয়েছিল পিঙ্কিজির বাড়ির মতো বড় করে গণেশ পুজো হবে পরিবারে। আর সেই কথা মতো মনোহরার বাইরে আয়োজন হয় গণেশ পুজোর।
এর আগেই মিঠাইয়ের সন্দেহ হয়, তাহলে কী কলের মিস্ত্রিই বাড়িতে সোনা রেখে গিয়েছিল? প্রথমে তার কথায় কান না দিলেও, সিড পড়ে এবিষয় ভাবতে বাধ্য হয়। সন্দেহ আরও জোরদার হয়, গণেশ পুজোর ভিড়ের মাঝে সেই কলের মিস্ত্রিকে দেখে। সিডের সঙ্গে তার চোখে চোখ পড়তেই, পালিয়ে যায় সে। সিড তার পিছনে ধাওয়া করলেও, ধরতে পারে না। রুদ্রকে ডেকে সবটা জানায় সে। এবার কি তাহলে ধরা পড়বে আসল অপরাধী? নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করে সসম্মানে মনোহরাতে প্রবেশ করতে পারবে সকলে? তা বলবে সময়। আর সমস্ত বিপদ থেকে কীভাবে গোপাল ফের 'হেলেপ' করে সকলকে উদ্ধার করবে, সেটাই এখন দেখার।
প্রসঙ্গত, এর আগে বারবার মনোহরার ক্ষতি করেছে আদিত্য আগরওয়াল। সিদ্ধেশ্বর মোদকের মিষ্টির বেস কিচেনে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা তারই ছিল। সেই সময় সোম ও তোর্সাকে দলে টানে সে। মিঠাইয়ের নামে দোষ পড়ে আগুন লাগানোর, ফল স্বরূপ জেলেও থাকতে হয় তাকে। সেই সময় বিদেশের চাকরি ছেড়ে স্ত্রীকে বাঁচাতে দেশে ফেরে সিড। শুধু তাই না, এর আগেও নীপাকে ফাঁদে ফেলে আদিত্য। বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে নীপা পালিয়ে যায়, আদিত্যর সঙ্গে বিদেশে যাবে ভেবে। সম্মানহানী হয় পরিবারের সকলের। বাধ্য হয়ে বিয়ে করে শ্রী ও রাতুল।