শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। নতুন বছরের প্রথম মাসেই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন রুবেল দাস ও শ্বেতা ভট্টাচার্য। ফের সানাই বাজতে চলেছে টলিপাড়ায়। স্বপ্নের দিনের আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছেন না দুই তারকা। এজন্যে বছর খানেক আগে থেকেই শুরু করেছিলেন প্রস্তুতি। এই মুহূর্তে দুই বাড়িতেই জোর কদমে চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এবার সেটেই আয়োজন হল হবু কনের আইবুড়োভাতের। তবে 'কোন গোপনে মন ভেসেছে' ধারাবাহিকের কোনও সদস্য না। শ্বেতার জন্য এই সুন্দর আয়োজন করলেন অন্য এক বিশেষ মানুষ।
শ্বেতা- রুবেল দু'জনের সোশ্যাল পেজ ভরেছে প্রি-ওয়েডিংয়ের ছবি- ভিডিওতে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ধরা পড়ছে তাঁদের উত্তেজনা। এরই মধ্যে সামনে এল শ্বেতার আইবুড়োভাতের কিছু মুহূর্তের। এই বিশেষ আয়োজন করেছেন তাঁর এক অনুগামী। একেবারে নিয়ম মেনে, আশীর্বাদ করে পঞ্চপদে আইবুড়োভাত খাওয়ালেন হবু কনেকে। সেই সঙ্গে উপহার দিলেন একটি শাড়ি পলা বাঁধানো।
বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করে শ্বেতা ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আইবুড়োভাত... একজন অচেনা মানুষ শুধুমাত্র আমার কাজ ভালোবেসে, আমাকে মন থেকে বোন মেনে সব কিছু আয়োজন করে শ্যুটিং ফ্লোরে এসে আমাকে খাইয়ে গেছেন। অনেক ধন্যবাদ দিদি। আপনি খুব খুব ভাল থাকুন আর এই ভাবেই আশীর্বাদ করুন।'
শ্বেতা ভট্টাচার্য বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ। 'যমুনা ঢাকি' ধারাবাহিক থেকেই তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত। এই ধারাবাহিকের আগেও তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন 'সিঁদুরখেলা','জড়োয়ার ঝুমকো'-র মতো একাধিক ধারাবাহিকে। এরপর 'প্রজাপতি'-র মাধ্যমে বড় পর্দায় ডেবিউ করেন তিনি। বর্তমানে শ্বেতাকে দেখা যাচ্ছে 'কোন গোপনে মন ভেসেছে' মেগাতে।
অন্যদিকে রুবেল বর্তমানে রয়েছেন 'নিম ফুলের মধু'-তে। এই ধারাবাহিকে পল্লবী শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। 'যমুনা ঢাকি'-র আগে 'ভানুমতির খেল', 'বাঘ বন্দির খেলা'-র মতো ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুবেল।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর রীতিনীতি মেনে দুই পরিবার এক হয়ে আশীর্বাদ করেন হবু বর-কনেকে। আগামী ১৯ জানুয়ারি গাঁটছড়া বাঁধবেন জুটি। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে রুবেল-শ্বেতার বিয়ের কার্ড। লাল রঙের কার্ডে লেখা রয়েছে 'বিয়ের গল্প কথা'।