Advertisement

Shruti Das: অভিযোগ নিতে শ্রুতির বাড়িতে পৌঁছাল পুলিশ

কখনও গায়ের রং তো কখনও চরিত্র, বারবার ট্রোলিংয়ের স্বীকার হয়েছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। এমনকি বাদ যায়নি তাঁর বয়ফ্রেন্ড, পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারকে (Swarnendu Samaddar) নিয়ে আলোচনাও। এই মুহূর্তে 'দেশের মাটি' (Desher Mati) ধারবাহিকের একজন মুখ্য চরিত্র নোয়ার ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রুতি।

শ্রুতি দাস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Jul 2021,
  • अपडेटेड 10:37 AM IST
  • অভিযোগ জানাতে কলকাতা পুলিশের অফিশিয়াল পেজ ট্যাগ করে সবিস্তারে বিষয়টি জানান।
  • সেখান থেকেই ইমেল করে তাঁকে সব ঘটনা জানাতে অনুরোধ করা হয়।
  • শনিবার কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার কয়েকজন অফিসার শ্রুতির বাড়িতে যান।

গায়ের রং নিয়ে তাঁকে বার বার ট্রেল করা হয়ে আসছে। প্রায় ২ বছর ধরে। তবে শেষ পর্যন্ত এই নোংরামির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আইনি পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das). গত ১ জুলাই বৃহস্পতিবার তিনি এমনই কমেন্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় (Kolkata Police) অভিযোগ জানাতে কলকাতা পুলিশের অফিশিয়াল পেজ ট্যাগ করে সবিস্তারে বিষয়টি জানান।

সেখান থেকেই ইমেল করে তাঁকে সব ঘটনা জানাতে অনুরোধ করা হয়। সেই মতো তিনি ইমেলও করেন। তবে ইমেলে কিছু তথ্য সেখানে না থাকায় শনিবার কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার কয়েকজন অফিসার শ্রুতির বাড়িতে যান। কখনও গায়ের রং তো কখনও চরিত্র, বারবার ট্রোলিংয়ের স্বীকার হয়েছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। এমনকি বাদ যায়নি তাঁর বয়ফ্রেন্ড, পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারকে (Swarnendu Samaddar) নিয়ে আলোচনাও। এই মুহূর্তে 'দেশের মাটি' (Desher Mati) ধারবাহিকের একজন মুখ্য চরিত্র নোয়ার ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রুতি। আর সেই নিয়েই তাঁকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে ধারবাহিক থেকে বাদ দেওয়ার দাবী জানালেন এক নেটাগরিক। বারবার এই ট্রোলিং ও বর্ণ বিদ্বেষের স্বীকার হয়ে শেষে আইনি পথে হাঁটলেন অভিনেত্রী। দ্বারস্থ হলেন কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা-র (Kolkata Police Cyber Cell).

 

আজতক বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শ্রুতি বলেছেন, "বারবার ট্রোলিং হচ্ছে বলেই মনে হল এবার এটা থামা দরকার। যদিও জানি এগুলো হয়তো থামবে না, কারণ যারা এগুলো করে তাঁদের শিক্ষার অভাব রয়েছে বলে আমার মনে হয়। এটা এমন একটা বড় অপরাধ, যার শাস্তি কেউ দেয় না। কেন দেয় না, তাও আমি জানিনা। যাকে এগুলোর সম্মুখিন হতে হয়, সেই জানে কেমন অনুভূতি হয় এই সবে।"

Advertisement

শ্রুতির কথায়, "এরকম ধরনের নোংরা কোনও কথা শুনলে খারাপই লাগে। এগুলো নিয়ে আমি চুপ থাকতে পারি না। একজন শ্যামবর্ণা অভিনেত্রী হয়ে যদি অন্য শ্যামবর্ণা অভিনেত্রীদের লড়াইয়ের মুখ হতে পারি, তাহলে সেটা আমার কাছে প্রাপ্তি। আমার পাসে ইন্ডাস্ট্রির কেউ না দাঁড়ালেও আমি তাঁদের লড়াইটাও তুলে ধরতে চাই।" 

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষা, তথা লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay) আজতক বাংলাকে জানালেন, "ট্রোলিং, মিম ততক্ষণ অবধি মেনে নেওয়া যায়, যতক্ষণ অবধি সেটি ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায় না পড়ে। বর্ণ বিদ্বেষ কখনই হওয়া উচিত না। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা মহিলা কমিশনের তরফ থেকে এর জন্য সাইবার শাখায় নিজেরা যোগাযোগ করবো এবং এখানকার যে আইনগুলো এর সঙ্গে যুক্ত আছে, সেই আইনগুলো যাতে প্রয়োগ করা হয়, সে বিষয় আমরা কড়া পদক্ষেপ নেব।"

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement