সম্প্রতি ৮০০ পর্ব অতিক্রম করল মেগা ধারাবাহিক 'কৃষ্ণকলি'। নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই নতুন অধ্যায় এসেছে ধারাবাহিকে। ১৮ বছর পরের দিকে মোড় নিয়েছে ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য।
মুখ্য চরিত্র শ্যামার মতই দেখতে আম্রপালীর মৃত্যুর পরই ১৮ বছরের ব্যবধান তৈরি করে চিত্রনাট্য এগিয়েছে। আম্রপালী দেখেতে ছিলেন শ্যামার মতই। শুধু গায়ের রঙের হের ফের। শ্যামার অনুপস্থিতিতে আম্রপালী নিখিলের স্ত্রী শ্যামার ভূমিকায় এসেছিলেন। নিখিল এবং আম্রপালীর সামাজিক বিয়েও হয়েছিল। তবে তাঁদের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল, শ্যামা ফিরে এলে আম্রপালী নিখিলের জীবন থেকে সরে যাবেন। এরপর শ্যামা ফিরে আসলেও আম্রপালী যেতে পারেন না শ্যামার কারণেই। নিজের জায়গা টিকিয়ে রাখতে আম্রপালী শ্যামার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে অপহরণ করায়। এরপরই আম্রপালীর মৃত্যু হয়। শ্যামার কী হল, নিখিল বা তাঁর পরিবারের কেউ জানতে পারে না। অন্যদিকে অপহরণ করার পর এক দুর্ঘটনায় শ্যামা গিয়ে পৌঁছয় বারাণসীতে। দুর্ঘটনার জেরে শ্যামা স্মৃতিশক্তি হারান।
১৮ বছর পর দেখা যায় বাবা হয়েছেন নিখিল। ওদিকে শ্যামাও মা হয়েছেন। শ্যামার মেয়ে কৃষ্ণা। কৃষ্ণা একেবারে তাঁর মায়ের মতই ভালো গান গায়। ঘটনাচক্রে কলকাতায় আসে শ্যামা এবং কৃষ্ণা। যৌনপল্লিতে বিক্রি হওয়া থেকে তাঁদের উদ্ধার করে নিখিল। নিয়ে আসে নিজের বাড়িতে। শ্যামা সবসময় মুখ ঢেকে রাখায় নিখিল চিনতে পারে না শ্যামাকে।
এরপর কী হবে? নিখিল কি আদৌ চিনতে পারবেন শ্যামাকে? নাকি সুনয়নার কথা মতই কাজ করবেন নিখিল?
চিত্রনাট্যের নিরিখে 'কৃষ্ণকলি'তে এসেছে অনেক নতুন মুখ। অভিনেত্রী সৌমি চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে শ্যামার মেয়ে কৃষ্ণার চরিত্রে। অন্যদিকে মিশমি দাস অভিনয় করছেন নিখিলের বান্ধবী এবং ব্যবসায়িক সহকারী সুনয়নার চরিত্রে। পরিবর্তন এসেছে নিখিল-শ্যামার জীবনেও। বয়সের ছাপে একটু বুড়ো হয়েছেন নিখিল। তাই চোখে চশমা। সাদা দাড়িতে দেখা যাচ্ছে নিখিল ওরফে নীল ভট্টাচার্যকে। শ্যামা ওরফে তিয়াসা রায়ের চেহারাতেও বার্ধক্যের ছাপ।
প্রসঙ্গত ২০১৮-র জুন মাসে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। মাঝে দুর্বল চিত্রনাট্যের কারণে টিআরপি রেটিংয়ে ভাল প্রভাব ফেলছিল না। তাই নতুন মোড় এনে টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টা করছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। তাতে অবশ্য কাজে দিয়েছে। কারণ এই সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় ৯.৩ পেয়ে চতুর্থ স্থানে 'কৃষ্ণকলি'।