১৯৭৩-এর ৬ জানুয়ারি হাওড়ার শিবপুরের জগাছায় জন্ম অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের।
ছাত্রাবস্থা থেকে বাম মনস্ক রুদ্রনীল সক্রিয় রাজনীতিতে না এলেও সমর্থক ছিলেন বাম রাজনীতির। সিপিএম দলের সদস্য পদও ছিল তাঁর। নিজেও বহুবার এ কথা বলেছেন।
২০১১ সালের রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর তৃণমূল ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন রুদ্র।
তৃণমূলের দলীয় সভায়ও তাঁকে বহুবার দেখা গিয়েছে। সরকারি মঞ্চেও উপস্থিত থেকেছেন তিনি।
২০১৪ সালে তাঁকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি পদে বসানো হয়। যা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়।
অনেকেই অভিযোগ করেন, তৃণমূলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন পদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হল রুদ্রনীলকে।
সুবিধাবাদী তকমা সে দিনও জুটেছিল তাঁর। তাঁর বহু সহকর্মীও সে সময় তাঁর শিবিরবদলকে ভালো চোখে দেখেননি।
যদিও এ অভিযোগ তখন বিশেষ গায়ে মাখেননি রুদ্রনীল। সে সময় তিনি বলেছিলেন, 'মানুষের সেবা করতে চাই। তাই তৃণমূলে এসেছি।'
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দেন রুদ্র। পুরনো দল এবং দলনেত্রীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন তিনি। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। কেন্দ্রে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপিতে যোগ দিয়েও তিনি বলেন, 'মানুষের সেবা করতে চাই, তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।' অনেকেই বলছেন "বাম থেকে রামে" যাওয়ার রাজনৈতিক বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন রুদ্রনীল ঘোষ।