বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য এ বছর বঙ্গভূষণ পুরস্কারে সম্মানীত করা হবে অভিনেতা সাংসদ দেব-কে। আগামী কাল নজরুল মঞ্চে রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে অভিনেতার হাতে। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে।
আগামী কাল নজরুল মঞ্চে বঙ্গ সম্মান তুলে দেওয়া হবে বিশিষ্টদের হাতে। সেই তালিকায় এ বছর স্থান পেলেন দেব। এ মুহূর্তে টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতাও বটে। তবে সুপারস্টার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন সফল প্রযোজকও বটে। গত কয়েক বছর ধরে তাঁর প্রোডাকশন হাউজ থেকে একের পর এক হিট ছবি উপহার পেয়েছে বাংলা সিনেমার দর্শক।
গত বছর এক সঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল অভিনেতা দেবের গোলন্দাজ এবং প্রযোজক দেবের হবুচন্দ্র রাজা, গবুচন্দ্র মন্ত্রী। আগামী দিনেও একের পর এক সিনেমা রয়েছে পাইপ লাইনে। বক্স অফিস সাফল্য তো বটেই, তার সঙ্গে এমন সম্মানতা অবশ্যই খুশি করবে অভিনেতা দেবকে।
১৭ বছর আগে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অগ্নিশপথ ছবির মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় পা রাখেন দেব। ছবির পরিচালক ছিলেন প্রবীর নন্দী। বক্স অফিসে তেমন ভালো কিছু না করতে পারলেও রবি কিনাগি পরিচালিত দ্বিতীয় ছবি আই লাভ ইউ-তে দর্শকদের নজরে পড়েন দেব। একই সঙ্গে নিজের অভিনয় দক্ষতা, নাচ এভং ফাইট সিকোয়েন্স শোধরানোর জন্য হঠাৎ মুম্বইয়ে পাড়ি দেন তিনি। সেখানে ১৪ মাস এজাজ গুলাবের কাছে প্রশিক্ষণ নেন। ফিরে এসে রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ ছবিতে সাড়া ফেলে দেন। এই ছবি তাঁখে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দিয়েছিল। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দেবকে।
মূল ধারার ছবির সঙ্গে সঙ্গে আরশি নগর, চাঁদের পাহাড়, জুলফিকার ছবিতেও কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন দেব। ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচন জেতেন দেব। ২০১৯-এও জয়লাভ করেন তিনি। তার পর থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নিরন্তর কাজ করছেন। মাঝে বন্যার সময় ঘাটাতে গিয়ে বন্যা পীড়িতদের সঙ্গে দিন কাটিয়েছেন। তাঁদের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন দেব।