মুক্তির আগে থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে এই ছবিকে ঘিরে। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘বাঘিনী: বেঙ্গল টাইগ্রেস’-এর ট্রেলার সমস্ত অনলাইন সাইট থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে প্রথমদিকেই জানিয়েছিলেন, ''কোনও রকম বায়োপিকের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। যদি কয়েকজন তরুণ কিছু গল্প জোগাড় করে নিজেদের মতো করে কিছু বানিয়ে থাকে, তবে সেটা তাদের ব্যাপার। তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।''
এতকিছুর পরেও ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে ‘বাঘিনী: বেঙ্গল টাইগ্রেস’। কিন্তু তা কেবলমাত্র শহরতলীর হলগুলিতে। তাতেই বিরক্ত ছবির কলাকুশলীরা। এই ছবিকে পরোক্ষে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বায়োপিক বলেই শোনা গিয়েছে। এদিন বাঘিনী-র কলকাতার সিনেমা হলে মুক্তির দাবিতেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হল ছবির টিম। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি তাদের।
ছবিটি নন্দনেও কেন কোনও হল পেল না তা নিয়েও এদিন আর্জি জানান প্রযোজক পিঙ্কি পাল। তাই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে চিঠি দিয়ে এই আর্জি জানাতে চেয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, প্রথমে সেন্ট্রাল বোর্ড ফিল্ম সার্টিফিকেশন থেকে ছাড়পত্র পায়নি ‘বাঘিনী’। পরে অবশ্য সেই ঝামেলা মিটেছিল। যদিও পরিচালক নেহাল দত্ত ছবিটিকে বায়োপিক বলতে নারাজ। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর কথা অনুযায়ী, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন নারী স্বাধীনতার কথা বলে, ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে আমিও ছবিতে নারীদের সংগ্রামের কথাই তুলে ধরেছি”।
পরিচালক নেহাল দত্ত যতই বায়োপিক বলতে অস্বীকার করুন পিঙ্কি পালের লেখা ছবির চিত্রনাট্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের উপর যে আলোকপাত করা হয়েছে সেটার ট্রেলারেই পরিস্কার হয়েছিল। ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুমা চক্রবর্তী। চিঠি তো জমা দিয়েছেন। এখন বাঘিনী: বেঙ্গল টাইগ্রেস কলকাতায় মুক্তি পায় কিনা সে তো সময়ই বলবে।