তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজির খোঁচা দিয়ে সোশাল পোস্ট করলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আর সেই পোস্টে একের পর এক লাইক করতে দেখা গেল তৃণমূলের দুই সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানকে। সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী আর এক অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। যা দেখে অনেকেই বিস্মিত।
মঙ্গলবার বিরাট শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দেন বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপির তারকা প্রার্থী অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। জমা দেওয়ার ছবি সোশাল মাধ্যমে শেয়ার করেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পোস্টে শ্রাবন্তী লেখেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গকে দুর্নীতি, তোলাবাজি মুক্ত করে, বেহালা পশ্চিমে শুধু ক্লাবে ক্লাবে ফূর্তি করার দান খয়রাতি নয়, সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সোনার বাংলার সংকল্প নিয়ে বেহালা পশ্চিমে সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়ে আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম।'
পশ্চিমবঙ্গে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মূল আক্রমণের লক্ষ্যই দুর্নীতি এবং তোলাবাজি। তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে একই ইস্যুতে নাম করে বা না করে বারবার আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। তার সঙ্গে ক্লাবগুলিকে অনুদানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিলিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধেও শরব হয়েছে বিজেপি। সেই একই কথা শ্রাবন্তীর পোস্টেও। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক সেই পোস্টে দলেরই তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নেত্রীর লাইক দেওয়াটা। যা নিয়ে প্রশ্ন জনমানসে, তা হলে কী অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির গানের কথাই ঠিক, ঐহিকে সব ভিন্ ভিন্ন, অন্তিমে সব একাঙ্গী!
তবে অেকে একে শুধুমাত্র রাজনৈতিক সৌজন্য বলেই মনে করছেন। এর আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া একাধিক তারকাকে তৃণমূলের তারকা নেতা-নেত্রীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেটা রাজনৈতিক সৌজন্য বটেই। কিন্তু যে পোস্টে তাঁদের দলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হয়েছে, সেখানে সমর্থন জানিয়ে লাইক দেওয়া, আর যাই হোক সৌজন্য নিশ্চয়ই হতে পারে না। সব মিলিয়ে চর্চা এটা নিয়েও, তা হলে কী আরও একটি রাজনৈতিক বিকল্পের দরজা খোলা রেখে দিলেন সকলে? উত্তর সময় দেবে।