বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হওয়ার পর ' কালকক্ষ ' (House of Time) ছবির সঙ্গে এবার যুক্ত হলো আরও এক অভূতপূর্ব জাতীয় স্তরের সম্মান। ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ইন্ডিয়ান প্যানোরমা জিতে নিল ' কালকক্ষ ' (House of Time)। এই নভেম্বরেই দেশের মাটিতে প্রথম বার ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ইন্ডিয়ান প্যানোরমায় স্ক্রিনিং হতে চলেছে ছবির।
২৬তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার, সঙ্গে দুটি স্ক্রিনিং এবং সপ্তম ক্যালাইডোস্কোপ ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব, বোস্টনে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে নর্থ আমেরিকান প্রিমিয়ার হওয়ার পর ৫২তম আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব, গোয়া (IFFI)-এ ইন্ডিয়ান প্যানোরমার সম্মান জিতে নিল অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন প্রযোজিত জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক জুটি রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতির আসন্ন ছবি 'কালকক্ষ' (House of Time)।
৫২তম আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব, গোয়া (IFFI)- এ ইন্ডিয়ান প্যানোরমার সম্মান প্রাপ্তির আগেই সপ্তম ক্যালাইডোস্কোপ ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব, বোস্টনে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জুরি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন অভিনেত্রী তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস। ছবির জন্য ২৬তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৪টি প্রতিযোগিতা মূলক বিভাগে, (নিউ কারেন্টস পুরস্কার, NETPAC পুরস্কার, কে বি নিউ কারেন্টস অডিয়েন্স পুরস্কার, FIPRESCI পুরস্কার) নির্বাচিত হয়েছে এই ছবি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং অবশ্যই IFFI-তে ইন্ডিয়ান প্যানোরামার সম্মান পাওয়ার পর, উচ্ছ্বসিত পরিচালক জুটি রাজদীপ পাল এবং শর্মিষ্ঠা মাইতি বলেছেন, ‘কালকক্ষ (House of Time) ছবিটি, তার নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কলাকুশলী ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মিলিত প্রয়াসের ফসল। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির পর আমরা জাতীয় স্তরে আমাদের নিজের দেশের দর্শকের কাছে ছবিটি প্রদর্শন করার এই অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সুযোগ পেয়েছি এবং IFFI-তে ইন্ডিয়ান প্যানোরামার সম্মান পাওয়ার খবরে আমরা ভীষণ আনন্দিত। ফিল্মটি অতিমারীর সময়ে তৈরি করা হয়েছিল যেটা থেকে আমরা এখনও বেরিয়ে আসিনি। আমরা আশাবাদী যে চলচ্চিত্রটি আজকের ভয়ঙ্কর ও বেদনাতুর সময়ের মধ্যেও আমাদের দেশের বৃহত্তর দর্শকের মনে এক চিরন্তন জীবনের আস্বাদ রেখে যাবে।'
ছবির প্রযোজক ও অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন এর কর্ণধার অঞ্জন বসু অন্যদিকে জানালেন, "নতুনকে স্বাগত জানানো অরোরা ফিল্ম করপোরেশনের দুরদৃষ্টি প্রজন্মের পর প্রজন্ম আলোকিত করেছে চলচিত্র জগৎ। প্রথম প্রজন্মে প্রতিষ্ঠাতা অনাদিনাথ বসু ১৯২১ সালে প্রযোজনা করলেন “রত্নাকর” বাংলার প্রথম নির্বাক চলচিত্র । তাঁর উত্তরসূরি দ্বিতীয় প্রজন্মের কর্ণধার অজিত বোস এর প্রচেষ্টায় বাংলা চলচিত্র আর্ন্তজাতিক জগতে স্বীকৃতি পেল। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত 'পথের পাঁচালী' পরিবেশিত হল দেশেবিদেশে। তৃতীয় প্রজন্মের তত্বাবধায়ক আমি। আমার স্বপ্ন বাংলা চলচিত্রকে আবার নিজ মহিমাতে প্রতিষ্ঠা করা, আর সেটা নিশ্চিত ভাবেই নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিকোণ থেকে। তারই ফলশ্রুতিতে প্রথম প্রযোজনা 'কালকক্ষ' (House of Time)। পরিচালক রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতি। বিভিন্ন কলাকুশলীর একনিষ্ঠ প্রয়াসে কালকক্ষ বিদেশের বিভিন্ন চলচিত্র উৎসবে প্রশংসিত এবং সন্মানিত। ছবির জন্য সপ্তম ক্যালাইডোস্কোপ ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব, বোস্টনে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জুরি পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস। এবং বর্তমানে দেশের মাটিতে প্রথমবার সম্মানিত হল এই ছবি, আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব, গোয়া (IFFI)-র ইন্ডিয়ান প্যানোরমা জিতে নেওয়ার সম্মান পেয়ে জাতীয় ক্ষেত্রে প্রথম স্ক্রিনিং হতে চলেছে। এই ছবির প্রযোজক হিসেবে আমি গর্বিত। খুব তাড়াতাড়ি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে 'কালকক্ষ' (হাউজ অফ টাইম)।"
ইতিমধ্যেই ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২-এ নির্বাচিত হয়েছে এই ছবি।। সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় যে আরও অনেক আন্তর্জাতিক তথা জাতীয় স্তরের সম্মানে ভবিষ্যতে ভূষিত হতে চলেছে 'কালকক্ষ' (House of Time)।