এপার ও ওপার দুই বাংলার ছবিতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার জন্যে, দর্শকের একেবারে মনের কাছের হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। ছবি ও চরিত্র বেছে নেওয়ায়ও থাকে নতুনত্ব। বারে বারে ভিন্ন স্বাদ দর্শকদের সামনে পরিবেশন করেছেন নায়িকা। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day)। একুশে ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি গৌরবময় দিন। মাতৃভাষা দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ পোস্ট করলেন জয়া।
ফেসবুকে জয়া এদিন লেখেন, "যে ভাষায় আমরা প্রতি মুহূর্তে বাঁচি, সেই বাংলা ভাষার দাবিকে রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার এই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাই। এই দিন কঠোর সংকল্পে নিজেকে জাগিয়ে তোলার দিন। বাংলা আমাদের ভাষা। আর এই ভাষার নামেই তো আমাদের স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। তবু এই ভাষাকে নিয়ে কত কিছু এখনো আমাদের করার বাকি রয়ে গেল। রাষ্ট্রে, সমাজে, শিক্ষায়। বাংলাকে নিয়ে আমাদের বহু পথ চলা এখনো বাকি। সে পথ আমরা সবাই মিলে নিশ্চয়ই পাড়ি দেব।"
তিনি আরও লেখেন, "একুশে এখন সারা পৃথিবীর নিপীড়িত, পর্যুদস্ত, মুমুর্ষু ভাষার অনুপ্রেরণাও। সেই অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বাংলাদেশের তরুণেরা, আজ থেকে একাত্তর বছর আগে। ভাবা যায়! পাহাড়ে আমাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ভাষাগুলো ভালো নেই। পত্রিকায় পড়েছি, রেংমিটচ্য নামে একটি ভাষার মানুষ নাকি বেঁচে আছে মাত্র পাঁচ–ছয়জন। তাদের পর পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে একটি ভাষা। একটি ভাষা হারিয়ে যাওয়া মানে অনন্য একটি ফুলের বাগান উজাড় হয়ে যাওয়া, যা আর কখনোই ফিরে আসবে না। আমরা কি কোনোভাবেই একে টিকিয়ে রাখতে পারি না? নানা ভাষা পৃথিবীকে যে বিচিত্র রঙে রাঙিয়ে তুলেছে, সেটা পৃথিবীজোড়া মানুষের বৈচিত্র্যেরই রং। একুশেতে মানুষের এই রঙিন পৃথিবীকে সালাম জানাই।"
প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নতুন ৭ বাংলা ফন্টের উদ্বোধন করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ঢাকায় এই ফন্টের উদ্বোধন করেছেন জয়া আহসান। মূলত বাংলা লেখার হরফে বৈচিত্র আনতেই এই নতুন ধরনের ফন্টগুলির উদ্বোধন হল, বিবৃতিতে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম অফলাইনে ইউএন ফন্টের উদ্বোধন হয়েছিল। চলতি বছর থেকে বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ এই নতুন ফন্টে লেখালেখি করতে পারবেন।