শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম। ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন হয় প্রেমের সপ্তাহ। তার মধ্যে সবচেয়ে স্পেশাল ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে। বছরের এই বিশেষ সময়ে প্রেমের জোয়ারে গা ভাসান অনেকেই। এপার ও ওপার দুই বাংলার ছবিতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার জন্যে, দর্শকের একেবারে মনের কাছের হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। ছবি ও চরিত্র বেছে নেওয়াতেও থাকে নতুনত্ব।
বারে বারে ভিন্ন স্বাদ দর্শকদের সামনে পরিবেশন করেছেন নায়িকা। প্রেমের মানে জয়ার কাছে কী? প্রেম দিবসে বিশ্বাসী তিনি? bangla.aajtak.in- এর সঙ্গে প্রেম নিয়ে মনখোলা আড্ডায় জয়া।
প্রশ্ন: ভ্যালেন্টাইন্স ডে আজ... প্রেম আলাদা একটা দিনে উদযাপনে আপনি বিশ্বাসী?
জয়া: প্রেম তো ভাল। একটি দিনের জন্য যদি ভালোবাসা উদযাপন করা হয়, এর মধ্যে খারাপ কিছু নেই। কোনও অসুবিধার নয় আমার জন্য। বরং ঘৃণা দিবস থাকলে আমার অসুবিধা হত।
প্রশ্ন: জয়া আহসানের কাছের প্রেমের মানে কী?
জয়া: প্রেমের অর্থ আমার কাছে আমার কাজ। আমরা শিল্পীরা একটু স্বার্থপর এবিষয়। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তেও আমায় সিনেমা হলে যেতে হবে।
প্রশ্ন: এবছর তাহলে কাজে- কাজেই উদযাপন করছেন?
জয়া: এবছর সব যেভাবে রিলিজ আছে, আমায় কাজের মধ্যেই সেলিব্রেট করতে হবে।
প্রশ্ন: ছোটবেলার প্রেমের কথা মনে পড়ে?
জয়া: হ্যাঁ অবশ্যই মনে পড়ে।
প্রশ্ন: কার্ড- গিফট দেওয়া- নেওয়া করতে গিয়ে, ধরা পড়ে বকা খেয়েছেন কখনও?
জয়া: যখন স্কুলে পড়তাম, আর্চিস থেকে কার্ড দেওয়া-নেওয়ার চল ছিল। বিশাল বড় একটা কার্ড পেয়েছিলাম একবার। আমিতো ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। কলার উঁচু করেছিলাম এই ভেবে যে, আমার কার্ডটাই সবচেয়ে সুন্দর। আরেকবার মনে পড়ছে, ফুলের মতো একটা চকোলেটের বৌকে বানিয়ে দিয়েছিল একজন। তবে এই বিশেষ দিনের জন্যে বকা খেয়েছি কিনা ঠিক মনে নেই। তবে স্কুল পালিয়ে ঘুরতে গিয়েছি প্রচুর। লাল ড্রেস কেনার একটা ঝোঁক ছিল।
প্রশ্ন: বসন্ত আসা মানেই প্রেমের আবহ। শীত প্রায় বিদায় নিয়েছে। এখনও প্রেমে পড়েন?
জয়া: হ্যাঁ আমি প্রেমে পড়ি। আমি বারবার প্রেমে পড়ি (হেসে)।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রথমবার ভূত রূপে পর্দায় ধরা দিয়েছেন জয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত ছবি 'ভূতপরী'। অন্যদিকে একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে জয়ার আরও একটি ছবি 'পেয়ারার সুবাস'। এছাড়া পাইপলাইনে রয়েছে 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'ওসিডি', 'কালান্তর'-র মতো আরও তিন- চারটে ছবি।