টলিপাড়ায় একের পর এক সানাই বাজার খবর আসছে। কাঞ্চন মল্লিক- শ্রীময়ী চট্টরাজের সামাজিক বিয়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এবছর ৬ মার্চ চার হাত এক হবে জুটির। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা, ব্রাইডাল স্কিনকেয়ার, নেইল এক্সটেনশন ইত্যাদি প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বৃহস্পতিবার মেহেন্দি ও সঙ্গীত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দুই বাড়িতে আয়োজন হয়েছিল আইবুড়োভাতের। বিয়ের এত দিন আগে মেহেন্দি- আইবুড়োভাত কেন? এই প্রশ্নই ঘুরছে অনেকের মনে। bangla.aajtak.in-কে খোলসা করলেন হবু কনে নিজেই।
শ্রীময়ী জানালেন, "আসলে কাল থেকে আমার শ্যুটিংয়ের চাপ। এইজন্যে একটু আগেভাগেই শেষ করে ফেললাম। আমি এই ক'দিন রোজ শ্যুটিং করছি। আমি অ্যাপ্লাই করেছি ছুটির জন্য। তবে ছুটি কবে থেকে ওরা (প্রোডাকশন হাউজ) দেবে সেটা জানি না (হেসে)। আসলে নতুন সিরিয়াল তো, অত ব্যাঙ্কিং নেই। আমায় তো আর বদমায়েসি ছাড়া কেউ নেয় না...।"
বিয়ের পড়ে হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন নব দম্পতি? এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা লাজুক অভিনেত্রী তথা কনের উত্তর, "আমার হানিমুন হচ্ছে স্টুডিও, আর কাঞ্চনের হানিমুন হচ্ছে লোকসভার প্রচার (হেসে)। না গো কোথাও যাচ্ছি না। সত্যি বলছি এখন কোনও হানিমুনের প্ল্যান নেই। আমি নিজে ঘুরতে খুব ভালোবাসি। আর গরম পড়ে গেছে, কোথায় আর যাবো...ইচ্ছে তো ছিল পাহাড়ে যাওয়ার। কিন্তু এমন সময় বিয়ে করছি, সেসময় হানিমুনের প্ল্যান করা যাবে না। পড়ে দেখি কখন প্ল্যান করা যায়।"
চলতি বছরের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সই- সাবুদ করে বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই সকলে চমকে যান। নেটমাধ্যমে বিয়ের আগের প্রস্তুতি ও নানা মুহূর্ত শেয়ার করছেন ব্রাইড-টু-বি। মেহেন্দি ও সঙ্গীতে কমলা- গোলাপী কম্বিনেশনের লেহেঙ্গা পরেছিলেন শ্রীময়ী। অন্যদিকে কাঞ্চনের পরনে সাদা রঙা শার্ট। কনুই অবধি ব্রাইডাল মেহেন্দি পরেছেন অভিনেত্রী। কাঞ্চনের হাতে মেহেন্দি দিয়ে লেখা 'শ্রী' (শ্রীময়ীর নামের প্রথম ভাগ)। শ্রীময়ী মুখে স্পষ্ট ব্রাইডাল গ্লো। পরিবারের ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ঘরোয়াভাবে বিশেষ দিনগুলি কাটালেন কাঞ্চন-পত্নী।
শ্রীময়ী জানালেন, সব রীতিনীতি- নিয়মকানুন মেনেই বিয়ে করবেন তাঁরা। হো-চি-মিন সরণির বুকে অবস্থিত একটি হেরিটেজ ভেন্যুতে বসবে কাঞ্চন- শ্রীময়ীর বিয়ের আসর। একেবারে কাছের লোকজনের আশীর্বাদ নিয়ে একই দিনে হবে তাঁদের ওয়েডিং রিসেপশন। অর্থাৎ একই দিনে হবে তাঁদের বিয়ে ও রিসেপশন। দু'জনের বয়সের ফারাক অনেকটাই। প্রায় ২৬ বছর! তবে তা একেবারেই দাম্পত্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই বিশ্বাসী নব দম্পতি।
প্রসঙ্গত, বলিউডি কায়দায় 'নো ফটো পলিসি'র পথে হাঁটছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। এলাহি আয়োজন সত্ত্বেও কড়া নিরাপত্তা থাকবে। কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি নেই, তা আগেই জানিয়েছেন শ্রীময়ী। কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, কাঞ্চনের নাকি পছন্দ নয় এই বিষয়টি। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি অভিনেতা- বিধায়ক জানান, তাঁদের কঠিন সময়ে যারা পাশে ছিলেন, একমাত্র তাঁরাই নিমন্ত্রিত থাকবেন বিয়ে বাড়িতে। জুটির সম্পর্ক- বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রোলিংয়ের বন্যা বইতে শুরু করে। তবে নিন্দুকদের মুখে ছাই ঘষে 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউট' রাখতেই পছন্দ করেন কাঞ্চন- শ্রীময়ী।