খবরের শিরোনামে থাকেন নুসরত জাহান ও তাঁর স্বামী- অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। ব্যক্তিগত জীবন থেকে রাজনীতি, বিগত কয়েক বছরে বারবারই চর্চায় এসেছেন তাঁরা। ২০২৪ সালের শুরুটা স্পেশাল ছিল জুটির জন্য। মুক্তি পেয়েছে তাঁদের প্রযোজিত প্রথম ছবি 'সেন্টিমেন্টাল'। তবে শুরুটা ভাল হলেও, বর্তমান সময়টা একটু খারাপই যাচ্ছে অভিনেত্রীর। রবিবার, ব্রিগেডের ময়দান থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল- কংগ্রেস। সেখানে নাম নেই বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ নুসরতের। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করে চলেছেন যশ- ঘরণী।
দেব, মিমি চক্রবর্তীর মতো তারকা- সাংসদরা রাজনৈতিক কেরিয়ারে ইতি টানার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও, নুসরতকে এই বিষয় কোনও 'টু' শব্দটি করতে শোনা যায়নি। যদিও ভোটে দাঁড়াতে চান তিনি, এমন কথাও প্রকাশ্যে বলেননি গত কয়েকদিনে। প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পরের দিন ইনস্টাগ্রামে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন নুসরত। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিছুটা উদাস ভঙ্গিতে বসে রয়েছেন তিনি। সামনে টেবিলে রাখা রকমারি খাবার- পানীয়, ফ্রেঞ্চফ্রাই, সাওয়ারডো। এই টক স্বাদের বিশেষ পদের ছবি শেয়ার করে নীচে নুসরত ক্যাপশনে লিখেছেন, "আমি 'টক' মানুষের চেয়ে 'সাওয়ারডো' বেশি পছন্দ করি।"
তাহলে কি ভোটের টিকিট না পেয়ে দলকে খোঁচা দিলেন নুসরত জাহান? নাকি এই পোস্ট অন্য কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উদ্দেশ্যে? আবার অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, পাঁচ বছরের বিদায়ী সাংসদের মনে কি অনেকটা অভিমান জমেছে টিকিট না পেয়ে? এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মুখ খোলেননি নায়িকা। তবে সোশ্যাল পেজ ভরেছে নানা কটূকথা- নেতিবাচক মন্তব্যে।
আসন্ন লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে নুসরতের বদলে লড়বেন হাজি নুরুল ইসলাম। এবার নুসরতকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল- কংগ্রেস। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি গ্রাম। গত প্রায় মাস দুয়েক ধরে শিরোনামে সন্দেশখালি। যখন উত্তাল ছিল রাজ্য-রাজনীতি, সেসময়ও দেখা মেলেনি বিদায়ী সাংসদের। সন্দেশখালি ঘটনাতেও বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয় নুসরতকে। এমনকী ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ ধারা বলায়, ফের ট্রোলের মুখে পড়েন তিনি নুসরত।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে, মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে ওঠে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন বলে মেনে নিয়েছেন নুসরত জাহান। তিনি দাবি করেন, ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে সুদ সমেত ফেরত দিয়েছিলেন। নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয় আদালতে। বেশ কয়েক জন প্রবীণ নাগরিক অভিযোগ করেন, যে সংস্থায় ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ, তারা প্রায় ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে। নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতির টাকাতেই পাম অ্যাভিনিউয়ের কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। এই তদন্তে সম্পূর্ণ সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছিলেন নুসরত।