জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এর বৈসরণ উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটে মঙ্গলবার। এর পর গোটা দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জন পর্যটকের। গুরুতর জখম ১৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জঙ্গিদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নাম ও ছবি প্রকাশ্যে আসে বুধবার। নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। যারা সামান্য আহত হয়েছেন, তাঁদেরও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এই মুহূর্তে আলোচনার বিষয়বস্তু মূলত একটাই, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা। মঙ্গলবার রাতে স্বপ্নের কাশ্মীর যেভাবে রক্তাক্ত হয়ে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে, তাতে মর্মাহত সকলে। বাকরুদ্ধ তারকাও। নেটমাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করছেন নিজেদের অনুভূতি। অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রও কাশ্মীরের স্মৃতিচারণ করলেন।
গত বছর স্বামী তথা পরিচালক রাতুল মুখোপাধ্যায়ও ছেলের সঙ্গে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন রূপাঞ্জনা। নিজের সোশ্যাল পেজে কাশ্মীর ভ্যাকেশনের কিছু লেন্সবন্দি মুহূর্ত শেয়ার করে রূপাঞ্জনা লিখেছেন, "গত বছর মে মাসে, আমরা পহেলগাঁওর বৈসরণে ছিলাম। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ। সেই একই জায়গা আতঙ্কের জায়গায় পরিণত হয়েছে। একটি নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনেরও বেশি নিরীহ প্রাণ হারিয়েছে। কোনও কথাই যথেষ্ট নয়। এমনকী গত বছর, আমরা যখন শ্রীনগরে নেমেছিলাম তখনও উত্তেজনার পরিস্থিতি ছিল—আমাদের পৌঁছনোর ঠিক আগে একটি হামলা হয়েছিল। কিন্তু এবছর, এটা বিধ্বংসী। ঈশ্বর সদয় হননি।"
অভিনেত্রী আরও লেখেন, "এটি আর শুধু একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি নয়-এটি মনে হচ্ছে যেন ব্যক্তিগত ক্ষতি। এটা আমাদের যে কোনও কারও সঙ্গে হতে পারে। সময় বদলে যাচ্ছে। আসুন শুধু শোক না করে কাজ করি। আসুন আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি, যে পরিবারগুলি তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের জন্য আমরা কী করতে পারি। তাদের আমাদের প্রার্থনার চেয়েও অনেক বেশি কিছু প্রয়োজন।"
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্ব করতে পারেন।