Advertisement

Durga Puja 2022- Rachana Banerjee Exclusive: 'পুজোর চার -পাঁচদিন কোনও কাজ রাখি না!' প্ল্যানিং থেকে ফ্যাশন টিপস, আড্ডায় রচনা

Durga Puja 2022- Rachana Banerjee Exclusive: পুজো মানেই খাওয়া- দাওয়া, আড্ডা, ঠাকুর দেখা, গান -বাজনা এবং প্রচুর সাজগোজ করা। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। আশ্বিনের 'শারদ প্রাতে' আলোকবেণু বাজতে আর কয়েকদিন অপেক্ষা।

অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবি: ফেসবুক)
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা ,
  • 23 Sep 2022,
  • अपडेटेड 7:18 PM IST

শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মরসুম। দোরগোড়ায় বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গা পুজো (Durga Puja)। আর পুজো মানেই খাওয়া- দাওয়া, আড্ডা, ঠাকুর দেখা, গান -বাজনা এবং প্রচুর সাজগোজ করা। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। আশ্বিনের 'শারদ প্রাতে' আলোকবেণু বাজতে আর কয়েকদিন অপেক্ষা।

বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় তিন দশক ধরে দাপিয়ে কাজ করছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয়। এবছর বাংলার 'দিদি নম্বর ১' (Didi No 1)-রচনার পুজো প্ল্যান কী? আজতক বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।

 

  

আজতক বাংলা: শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছা। কেমন আছেন? 

রচনা: ভাল আছি। তোমাকেও অনেক শুভেচ্ছা। 


প্রশ্ন: সামনেই পুজো। এবার প্ল্যানিং কী? 

রচনা: এবার সেরকম কোনও প্ল্যান নেই। কারণ এবছর আমার ইচ্ছে একটু রেস্ট নেওয়ার, ঘুমানোর। এত কাজের চাপ থাকে যে, ঘুম হয় না ভাল করে। কোনও বন্ধু- বান্ধবের বাড়িতে হয়তো লাঞ্চ বা ডিনারে যেতে পারি। এর বাইরে সেভাবে কোনও প্ল্যানই নেই। শুধু বাড়িতে থাকব, ঘুমাবো, টিভি দেখব, সিনেমা দেখব, এভাবেই কাটাবো।  


প্রশ্ন: ছেলের সঙ্গে কোনও প্ল্যান নেই?

রচনা: ছেলে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। ওর নিজস্ব দুনিয়া রয়েছে, বন্ধু- বান্ধব রয়েছে। ও ওর মতো করে এনজয় করবে। ওর মতো বয়সে আমিও প্রচুর মজা করেছি। এখন ওর সময় মজার করার।   

 


প্রশ্ন: ছোটবেলায় পুজো কীভাবে কাটাতেন? 

Advertisement

রচনা: প্রচুর বন্ধু- বান্ধবের সঙ্গে বেরোতাম, ঠাকুর দেখতাম। আমার বাপের বাড়ি গড়িয়াহাটে, সেখানের বিল্ডিংয়ে পুজো হয়। অনেকটা সময় কাটত সেখানে। এবারও যাবো। প্রচুর চেনা- পরিচিত মানুষ আছেন ওখানে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। তবে আগে যেমন সারাক্ষণ প্যান্ডেলে বসে থাকতাম, উপরে উঠে জামা চেঞ্জ করে আবার নেমে আসতাম...এখন তো সেটা আর সম্ভব না। এখন সেগুলো আমার ছেলে করবে (হেসে)।      


প্রশ্ন: অন্যবার পুজোয় কাজ থাকে? 

রচনা: পুজোর চার -পাঁচদিন কোনও কাজ রাখি না। 


প্রশ্ন: পুজোর সময় কলকাতার বাইরে থেকেছেন কখনও? 

রচনা: এখন অবধি সেরকম হয়েছে বলে মনে পড়ে না। কখনও না! শরতের সকালে ঢাকের আওয়াজ না শুনলে, মনে হয় না পুজো। আর বছরের এই সময়টা বাইরে থাকতে ইচ্ছে করে না। প্যান্ডেলে যাই বা না যাই, যে কাজই করি, ওই ঢাকের আওয়াজ শোনাটা খুব দরকার।    


প্রশ্ন: পছন্দের মেনু কী? 

রচনা: পুজোর ভোগ খেতে খুব ভালোবাসি, সেটা খাই। আমাদের বিল্ডিংয়ে বিশাল পুজো হয়। সেখান থেকে ভোগ আসবে, সেটা তো খাবোই। এছাড়া বাপের বাড়ির বিল্ডিংয়ে বড় করে যে পুজো হয়, সেখানেও খাওয়া- দাওয়া হবে। দুপুরবেলাগুলো ইচ্ছে আছে একেক দিন এক একটা জায়গায় খাওয়ার। তবে তাই বলে সারাদিন যে ঘুরব, সেরকম কিছু প্ল্যান নেই।   


প্রশ্ন: পুজোয় ডায়েট মেনে খাওয়া -দাওয়া হয়? 

রচনা: (একটু ভেবে) সত্যি বলবে ওভাবে ওই কয়েকদিন ডায়েট মেনটেইন করা হয় না। ভোগ খেয়ে তো আর ডায়েট করা যায় না (হেসে)। তবে সকালে যদি খুব ভারী খাবার খাই, তাহলে রাতে হালকা কিছু খাই। আবার রাতে ভারী খেলে, দুপুরে হালকা খাবার। আগে থেকে তো প্ল্যান জানা থাকে কোথায়, কখন কী খাচ্ছি। সেভাবে নিজেকে একটু ব্যাল্যান্স বা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করি।    


প্রশ্ন: রচনা বন্দোপাধ্যায়ের এবারের পুজোর 'ফ্যাশন মন্ত্রা' কী?  

রচনা: পুজোর সময় আমার মনে হয়, ট্রাডিশনাল ভারতীয় পোশাকই বেশি ভাল লাগে। সালোয়ার -কামিজ না হলে শাড়ি! সকলকে ভাল লাগে এই পোশাকগুলোয়। পুজোয় অন্য কোনও জামাকাপড় ভাল লাগে না দেখতে। আমার মনে হয়, পুজোয় ইন্ডিয়ান ড্রেস না পরলে মানায় না। আমারও সেরকমই প্ল্যান আছে। যদি কোথাও যাই, তো শড়ি বা সালোয়ার কামিজি পরব। আমি অবশ্য সারা বছর এত শাড়ি পরি যে, আমার আর শাড়ি পরতে ইচ্ছে করে না। সেই সঙ্গে যেহেতু নিজেও শাড়ির ব্যবসা করি, তাই সালোয়ার- কামিজই এবার পছন্দের তালিকায় প্রথমে রয়েছে।   


প্রশ্ন: পুজোর আগে নিশ্চয় ব্যবসা নিয়েও প্রচুর ব্যস্ততা ছিল। কীভাবে সামলালেন সবটা?   

রচনা: ফ্রি-টাইমটা আমি কোনও ভাবে নষ্ট করি না সিনেমা দেখে, শুয়ে- বসে- ঘুমিয়ে। সে সময়টা যাতে কাজে লাগাতে পারি, এজন্যেই ব্যবসা শুরু করেছি বাড়ি থেকে।  


প্রশ্ন: এখনও মহালয়া শোনেন বা দেখেন? 

রচনা: আগে রেডিওটে খুব শোনা হত। এখন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুনি (হেসে)। চোখটা বন্ধ থাকে, কিন্তু তার মধ্যেই কানে আসে মা চালায় বলে। এবছর আমার আবার সেদিন সন্ধ্যেবেলা বনগাঁতে শো আছে। 


প্রশ্ন: আগের থেকে বর্তমান সময়ের পুজো কতটা পাল্টেছে? 

রচনা: সময়ের সঙ্গে তো সব কিছুরই পরিবর্তন হয়, এটারও পরিবর্তন হবে। এখন সব কিছু অনেক বেশি বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। প্যান্ডেল বদলে যাবে - ঠাকুর বদলে যাবে, মানুষের আনন্দ করার ধারা বদলে যাবে... তবে পুজো তো পুজোই থাকবে। 

Advertisement

 


প্রশ্ন: পুজোর সঙ্গে প্রেম সমার্থক! আপনিও বিশ্বাসী? কিংবা ছোটবেলার কোনও স্মৃতি আছে এরকম?

রচনা: পুজোর সময় ছোটবেলা থেকে বিল্ডিংয়েই কাটিয়েছি। বহু মানুষ থাকেন ওখানে। যখন স্কুল- কলেজে পড়ি, হয়তো কোনও কমবয়সী ছেলে প্যান্ডেলে আসত। তার দিকে আমরা তাকাতাম, সেও হয়তো তাকাতো, সেটুকুই। এর বাইরে সাহস ছিল না কিছু করার। তখন শুধু ভাল লাগার একটা সময় ছিল।  


প্রশ্ন: দুর্গা পুজো মানে কী আপনার কাছে? 

রচনা: বাঙালির নস্টালজিয়া, বাঙালির ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব। 


প্রশ্ন:সকলকে কোনও বিশেষ বার্তা দেবেন? 

রচনা: সকলকে দুর্গা পুজোর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। খুব মজা করে, আনন্দে কাটুক এবারের পুজো। বছরের এই চারটি দিনের জন্য, সারা বছর আমরা মুখিয়ে থাকি। গত দু'বছর কেউ ভাল করে পুজো কাটাতে পারেনি। আশা করি এবার সকলে খুব আনন্দ করে কাটাবেন। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement