Advertisement

Rituparna Sengupta Exclusive: পুরুষরা না বদলালে, মেয়েদের ওপর অত্যাচার চলতেই থাকবে: ঋতুপর্ণা

Rituparna Sengupta Exclusive: রঞ্জন ঘোষ পরিচালিত এই 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' মুক্তির আগেই একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত। bangla.aajtak.in -কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ছবির খুঁটিনাটি থেকে অজানা সিক্রেট শেয়ার করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। 

টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা ,
  • 24 Nov 2022,
  • अपडेटेड 8:49 PM IST

আগামী ২৫ মে মুক্তি পাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta) ছবি 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' (Mahishasur Marddini)। রঞ্জন ঘোষ (Ranjan Ghosh) পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তির আগেই সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে। যুগ যুগ ধরে যে অন্যায় নারীদের সঙ্গে হয়ে আসছে এবং যা আজও অব্যাহত, সেই গল্পই বলবে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী'। এই ছবির সৌজন্যেই শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের (Parambrata Chattopadhyay)  সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছেন ঋতুপর্ণা। bangla.aajtak.in -কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ছবির খুঁটিনাটি থেকে অজানা সিক্রেট শেয়ার করলেন টলি ডিভা ঋতুপর্ণা। 

আজতক বাংলা: কেমন আছেন?   

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: (হেসে) খুব দৌড়াদৌড়ি চলছে। শ্যুটিং, প্রমোশন সব একসঙ্গে চলছে।  


প্রশ্ন: 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' শব্দটাই তো এবছর আপনার জন্য খুব স্পেশাল? 

ঋতুপর্ণা: হ্যাঁ এবার প্রথমবার মহালয়ার সময় মা দুর্গা- মহিষাসুরমর্দ্দিনী রূপে পারফর্ম করেছি। আর 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' ছবিটাও সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। খুব মজার লাগল বিষয়টা। নামের সঙ্গে সঙ্গে যে ভাবনা থেকে ছবিটা তৈরি হয়েছে, সেটাও নারীকেন্দ্রিক একটা বিষয়।    

 


প্রশ্ন: যুগ যুগ ধরে যে অন্যায় নারীদের সঙ্গে হয়ে আসছে, তা তো আজও অব্যাহত... 

ঋতুপর্ণা: হ্যাঁ। আমি একটু আগেই ভাবছিলাম অনেক বছর আগে একটা ছবি হয়েছিল তপন সিনহার পরিচালনায়- 'আদালত ও একটি মেয়ে'। মহিলাদের উপর ধর্ষণ নিয়ে ছিল সেই ছবির বিষয়বস্তু। ঠিক সেই ব্যাপারটাই আজ অবধি রয়েছে এবং থেকেও যাবে বলে মনে হয়। কীভাবে যে এটা বদলানো যায় আমরা কেউই জানি না। আগে আমরা বলতাম মেয়েরা বড় হলে... এখন আর মেয়েদের বড় হওয়ার দরকার নেই। শিশুকালেই তাদের অপর যা অত্যাচার চলছে... কোনও বদল নেই। কারা বদলাবে? একমাত্র পুরুষরা? তারা যদি না বদলায়, তাহলে তো মেয়েদের ওপর এই অত্যাচার হতেই থাকবে। এই ছবিটা যতটা মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেরকম পুরুষদের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ। ইচ্ছে থাকলেও, কষ্ট হলেও আমরা এই সমস্যা দূর করতে পারছি না। এই ছবি মহিলাদের কাছে এক প্রকার ক্ষমা চাওয়া।   

Advertisement

 


প্রশ্ন: গোটা ছবিটাই কি একটা লোকেশনে শ্যুট হয়েছে?  

ঋতুপর্ণা: হ্যাঁ একটা লোকেশনেই শ্যুট হয়েছে। মূলত একটা রাতের গল্প। একটা দারুণ জমিদার বাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছিল লোকেশন হিসাবে। তবে শ্যুটিংয়ের সময় আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।  


প্রশ্ন: কী ধরনের চ্যালেঞ্জ?  

ঋতুপর্ণা: প্যানডেমিক পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়ে আবার দু-তিন মাস পরে যে বেড়ে গেল কোভিড, সেই সময়কালে এই ছবিটা বানানো হয়েছিল। মুখে মাস্ক পরে, সব রকম সচেতনতা অবলম্বন করে, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে আমরা ছবিটা শেষ করেছিলাম। সেই সময় ৯ টার পরে নাইট কার্ফু শুরু হয়ে যেত। সব মিলিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।  


প্রশ্ন:  প্রথমবার একসঙ্গে ঋতুপর্ণা, শাশ্বত, পরমব্রত! কেমন অভিজ্ঞতা হল? 

ঋতুপর্ণা: দু'জনের সঙ্গেই আলাদাভাবে আমি অনেকগুলো কাজ করেছি। তবে তিনজন মিলে একটা কাজ করলে যতটা পাওয়ার থাকে, সবাই একই ছবিতে যখন কন্ট্রিবিউট করে, তার একটা প্রভাব ছবিতে তো পড়বেই। শাশ্বত, পরমব্রত, আমি, সাহেব ভট্টাচার্য, পৌলমী যেমন কাজ করেছি, সেই সঙ্গে একঝাঁক নতুন তারকাও আছে এই ছবিতে। খুব ভাল লেগেছে সব মিলিয়েই। 

 


প্রশ্ন:  একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' প্রশংসিত...কী মনে হচ্ছে, পশ্চিমবাংলার দর্শকেরা কতটা আপন করে নেবেন? 

ঋতুপর্ণা: ছবিটার একটা গুরুত্ব আছে। এটা শুধুমাত্র একটা ছবি না। কিছু ছবি থাকে, যার বিষয়বস্তু মনের ভিতরটাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। এই ছবির ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই। দর্শকদেরও বুঝতে হবে, বিনোদনের পাশাপাশি একটা বড় মেসেজ রয়েছে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী'-তে। যেটা একটা অন্য জায়গা তৈরি করবে। এবার দেখা যাক কী হয়।   


প্রশ্ন: আপনিও তো একজন নারী। প্রতি পদক্ষেপে মহিলাদের লড়াই করে যেতে হয়। বিশ্বাস করেন?  

ঋতুপর্ণা: আমিও তো লড়ছি। এই লড়াইটা রোজই করি আমরা। সেই সঙ্গে তারকাদের এক রকমের জীবনযাত্রা, এক রকমের সমস্যা এবং চলমান প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সব সময়।   


প্রশ্ন: একজন মহিলা হিসাবে আপনি কখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন?  

ঋতুপর্ণা: হ্যাঁ, কিছু কিছু সমস্যার মুখে আমিও পড়েছি একটা সময়। বড় হওয়ার সময় আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা হয় এবং সেগুলো অনেকে বলতে পারে, অনেকে বলতে পারে না। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পড়লাম আমির খানের মেয়ে ইরা বলেছে যে, যখন ওর ১৪ বছর বয়স ছিল, ওকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমাদেরও এরকম অনেক ছোটখাটো ঘটনা থাকে, যেগুলো আমরা ভুলে যেতে চাই, কিন্তু স্মৃতিতে থেকে যায়... সেই বয়সে তো সকলে সরব হতে পারে না, তখন মনে হয় যে, সবাই কী ভাববে। এখন বুঝি, কিছু কিছু বিষয় সরব হওয়া উচিত, সকলের জানা উচিত যে, কোনটা অন্যায়।    

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement