Advertisement

EXCLUSIVE: 'ফেলুদা নেই, কষ্ট হচ্ছে,' বললেন 'তোপসে' সিদ্ধার্থ

ফেলু মিত্তিরের সঙ্গে তোপসের যাত্রা সিনে জগতে আজও ছাপ রেখে গিয়েছে। সেই ফেলুদা যখন নশ্বর থেকে অবিনশ্বরে গেলেন, তখন স্মৃতিমেদুর সিদ্ধার্থ 'তোপসে' চট্টোপাধ্যায়।

স্মৃতিমেদুর সিদ্ধার্থ 'তোপসে' চট্টোপাধ্যায়।
অদিতি কুন্ডু
  • কলকাতা ,
  • 15 Nov 2020,
  • अपडेटेड 5:53 PM IST
  • ফেলুদা যখন নশ্বর থেকে অবিনশ্বরে গেলেন, তখন স্মৃতিমেদুর সিদ্ধার্থ 'তোপসে' চট্টোপাধ্যায়।
  • ''আমাকে বুঝতেই দেননি আমি স্টার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছি''
  • ''সব কমিটমেন্ট শিখেছি। আমার মনে হয় এই ইন্ডাস্ট্রি এটা মিস করবে। এরা চিরকালের লোক হয়ে থাকবেন।"

দীর্ঘদিনের লড়াই চলছিল। রবিবার বেলা ১২ টা বেজে ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়াণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের 'জয় বাবা ফেলুনাথ'  -এর ফেলু মিত্তিরের সঙ্গে তোপসের যাত্রা সিনে জগতে আজও ছাপ রেখে গিয়েছে। সেই ফেলুদা যখন নশ্বর থেকে অবিনশ্বরে গেলেন, তখন স্মৃতিমেদুর সিদ্ধার্থ 'তোপসে' চট্টোপাধ্যায়। 

অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সিদ্ধার্থ বলেন, "অনেকটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হল। যা অপূরণীয়। মানসিক ভাবে এই কদিনে তৈরি হচ্ছিলাম। কিন্তু এখন মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে।"

"যখন ফেলুদা করি সেইসময় আমার ১৪-১৫ বছর ফেলুদার তখন ৩৬। একটা ডিফারেন্স ছিল। আমি একেবারে নতুন, অল্প বয়স ছিলাম। সেখানে সৌমিত্র বাবুর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা অভিজ্ঞতা। আমাকে বুঝতেই দেননি আমি স্টার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছি৷ প্রথমেই যখন এই কেমিস্ট্রিটা তৈরি হয়ে যায় তখন কাজ করতে সুবিধা হয়। আমরা শুটিংয়ের আগে রিহার্সালও করতাম৷ ফলে সেই কেমিস্ট্রিটা তৈরি হয়ে যেত। জয় বাবা ফেলুনাথ থেকে শুরু। আসলে সৌমিত্রকাকু নিজেই আপন করে নিতে পারতেন৷ স্টার সৌমিত্রকাকু আর স্ক্রিনের বাইরের মানুষটি একদম আলাদা। নম্র, ভদ্র, শিক্ষিত, মার্জিত, জ্ঞানী একজন মানুষ। অসম্ভব পরিশ্রমী একজন মানুষ।"

ফোটো- সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় সৌজন্যে

অভিনেতা প্রসঙ্গে তোপসে বলেন, "ওঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। টাইম আর কমিটমেন্ট। যে কাজে যেত সেটা মেনে চলতেন। সুপারস্টারের ট্র‍্যানট্রাম কোনদিন ছিলই না।" থিয়েটারেও কি একই রকম ছিলেন তিনি? সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের সোনার কেল্লার শুটিং চলছিল। বিকেলে সৌমিত্র কাকুর নাটক ছিল। শুটিংয়ের সব কাজ করে ট্রেন ধরে তারপর ফ্লাইট নিয়ে চলে এসেছিলেন। শুটিং-নাটক বিভেদ নেই। কমিটমেন্টটাই শেষ কথা ছিল। 

Advertisement

পোস্ত ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে সিদ্ধার্থ বলেন, "একদিন আমি ৯.৩০ এর পর মেক আপ রুমে গেলাম দেখলাম সৌমিত্রকাকু বসে। জিজ্ঞেস করাতে বললেন, কল টাইম তো ৯টায় ছিল। তুমি এত দেরিতে এলে কেন? আমি উত্তর দিতে পারিনি। ভাবলাম ওর সঙ্গে ২৫ বছরের বেশি পার্থক্য,  উনি সময়ে চলে এলেন, আর আমি পারলাম না।" এই সব কমিটমেন্ট শিখেছি। আমার মনে হয় এই ইন্ডাস্ট্রি এটা মিস করবে। এরা চিরকালের লোক হয়ে থাকবেন।"

শেষ দিনগুলির স্মৃতিচারণে বলেন, "তোপসে করতে গিয়েই অনেকটাই কাছের ছিলাম। এই কিছুদিন আগের একটি শুটিংয়ে একসঙ্গে ছিলাম। বেনারসেই শুটিং ছিল। কত স্মৃতি সেখানে। আর অসম্ভব খেতে ভালবাসতেন। শারীরিক দুর্বলতাকে প্রশয় দেননি কোনওদিনও। উনি সাহসী ফেলুদা আমাদের."

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement