স্টুডিওপাড়ার সম্পর্কের সমীকরণ বোঝা খুবই কঠিন। টলিপাড়ায় যেমন নতুন সম্পর্ক গড়ে, তেমন একের পর এক সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনও শোনা যায়। গত দু'দিন ধরে শিরোনামে সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তী। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পৃথা জানান, সুদীপের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর।
এরপর সুদীপ একটি ভিডিও করে বলেন, গোটা বিষয়টা নিতান্তই মজা করে করা এবং তাঁদের বিচ্ছেদ হচ্ছে না। এরপর থেকেই নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এই অবধি খবর প্রায় সকলেরই জানা। তবে এবার ফের পোস্ট করে সুদীপ জানালেন, আসলে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে।
বিচ্ছেদ হয়েছে নাকি হয়নি? ব্যাপারটা কী? এই প্রশ্নই ঘুরছিল সকলের মনে। অনেকেই তাঁদের এই কাণ্ড দেখে খুবই বিরক্ত। অনেকেই বলছেন, ডিভোর্সের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কীভাবে তাঁরা মজা করতে পারেন। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এর পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করছেন। সোমবার সুদীপ ফেসবুকে লেখেন, "হ্যাঁ এটা সত্যি যে আমি আর পৃথা বিচ্ছিন্ন হয়েছি। এটা আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমি চাইনি সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টা আসুক, তাই ঢাকতে চেষ্টা করেছি। তবে কিছু নেটিজেন পৃথার সম্মানহানি করার চেষ্টা করছেন। আমি এটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ও আমার সন্তানদের মা। আমরা একে অপরকে সম্মান করি। আমরা যথাসাধ্য বন্ধু থাকার চেষ্টা করব। এটা ব্যক্তিগত রাখতে চাই...।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিন কয়েক আগে সুদীপ - পৃথা বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। যদিও দুই সন্তানের কথা ভেবে আগামী দিনে এক ছাদের নীচেই বসবাস করবেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমকে সুদীপ বলেন, "অনেক চেষ্টা করেছিলাম, বিষয়টি এখনই যাতে প্রকাশ না হয়। পৃথা জানিয়ে দিল। ও যে আমাকে না জানিয়ে বিচ্ছেদের খবর এ ভাবে প্রকাশ্যে আনবে, এটা ভাবিনি। পৃথা আমার দুই সন্তানের মা। ওঁর বিরুদ্ধে কোনও কটূক্তি করব না। এমনিতেই সমাজমাধ্যমে ওঁকে খারাপ মন্তব্য করা হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দামিণী বেণী বসুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর পৃথার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সুদীপ। জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই আলাপ দু'জনের। পেশায় ওড়িশি নৃত্যশিল্পী পৃথার এটি প্রথম বিয়ে। দু'জনের বয়সের ফারাক ২৫ বছর হলেও, তা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সুদীপ ও পৃথার দুই ছেলে রয়েছে।