Advertisement

Swastika Mukherjee: বাবা সন্তুর মতোই 'লক্ষ্মী ট্যারা' স্বস্তিকা, একরাশ মন খারাপ নিয়ে নায়িকা লিখলেন...

Swastika Mukherjee's Emotional Post: ছোট পর্দা, বড়পর্দা থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম- টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও দাপিয়ে কাজ করছেন স্বস্তিকা। মনের কথা অকপটেই বলে ফেলেন এই নায়িকা। সেই জন্যে প্রায়শই থাকেন জল্পনার শীর্ষে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 21 Jan 2025,
  • अपडेटेड 1:07 PM IST

দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিজের অসামান্য অভিনয় দক্ষতা এবং অন্য ধারার স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্যে লাইমলাইটে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। একাধিক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের মাধ্যমে বারবার দর্শকদের মন ছুঁয়েছেন অভিনেত্রী। ছোট পর্দা, বড়পর্দা থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম- টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও দাপিয়ে কাজ করছেন স্বস্তিকা। মনের কথা অকপটেই বলে ফেলেন এই নায়িকা। সেই জন্যে প্রায়শই থাকেন জল্পনার শীর্ষে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে স্বস্তিকার জীবনে রয়েছে অনেকটা শূণ্যতা। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বাবা- মা। নায়িকার বিভিন্ন পোস্টে স্পষ্ট ফুটে ওঠে মন খারাপের কথা।  

প্রায়ই বাবা- মায়ের স্মৃতিচারণ করেন অভিনেত্রী। একটি আবেগেঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা। বিমানের ভিতরে তোলা একটি সেলফি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নায়িকা জানান, তিনি নাকি তাঁর বাবা- সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মতোই 'লক্ষ্মী ট্যারা'। এই এজন্যে তাঁর কোনও উল্টে খুব খুশি তিনি। দীর্ঘ পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, "ছোটবেলা থেকে দেখেছি, বাবা একটু বেশি মনোযোগ দিয়ে কথা বললে চোখটা কেমন অন্য রকম হয়ে যেত। বা অন্যমনস্ক হয়ে রইলে চোখটা সেই অন্য রকম। আনমনে কথা বললেও দেখতাম চোখের মণিটা কেমন যেন ফট করে আলাদা হয়ে যেত। হঠাৎ ডাকলে যদি তাকাই, সেই চোখটা আবার আলাদা। একটু বড় হতে বুঝলাম একে বলে - লক্ষ্মী ট্যারা। চাহনিটা খালি একটু খানি অন্য রকম। বাবাকে কী মিষ্টি লাগত।" 

তিনি আরও লেখেন, "ওই রকম করো না চোখটা, এটা বললেই বাবা বলত, 'আরে ওরম ইচ্ছে করলেই হয় না, করা যায় না। ট্যারা হব দেখবি?' সে ট্যারা তো সবাই হতে পারে। নাকের ডগায় আঙুল রেখে, বা ভুরু যুগলের মধ্যে আঙুল রেখে তাকানোর চেষ্টা করলেই ট্যারা। বাবা চলে যাওয়ার পর, অনেক রাত অবধি বোনের সঙ্গে গল্প করলে বোন মাঝে মাঝে বলত, এই দিদি চোখটা ঠিক কর, বাবার মতো হয়ে গেছে। বা বলত, দিদি পুরো বাবার মতো তাকালি, বা বলত, পুরো বাবা মনে হল চোখটা, ওরম করে তাকাস না আহারে, এই দিদি চোখ টা ঠিক কর। আমি পাতা ফেলে, চোখ পিটপিট করে ঠিক করে নিতাম আর মনে মনে স্বস্তির হাসি হাসতাম।" 

Advertisement

আরও পড়ুন

স্বস্তিকা যোগ করেন, "আমরা তো সবাই চাই, এটাই আমাদের সুপ্ত বাসনা, আমরা যেন আমাদের বাবা মায়ের মতো হই। তাদের সবটা যেন আমাদের মধ্যে থেকে যায়। ঠিক যেমন আমি চাই, আমার আমিটা যেন আমার মেয়ের মধ্যে আশ্রয় পায়। গতকাল ফ্লাইটে আসার সময় হঠাৎ দেখি সূর্যটা অস্ত যাওয়ার আগে রমরমিয়ে জ্বলে উঠেছে, সারা আকাশ কমলা রঙে উজ্জল আর সেই এক ফালি রোদ এসে আমার চোখটা প্রায় ঝলসে দিচ্ছে। এত সুন্দর আলো অনেকদিন পর দেখলাম। ভাবলাম, সূর্যের এত কাছে আছি কটা ছবি তুলি, নিজস্বি। ঠিক দুটো তুললাম। ওমা ফটোটায় তাকিয়ে দেখি, সেই বাবার মতো হয়ে আছে চোখটা। সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকটা তুললাম যাতে বাবার মতো হয়ে থাকতে থাকতে আরও কয়েকটা ছবি থেকে যায়। এক ফোটা নড়িনি চড়িনি, চোখের পাতাও ফেলিনি। হল না। আর একটাও হল না। প্লেনটা নামা অবধি ভাবলাম, এই আকাশে বাবা থাকে, মেঘের মধ্যে, সূর্যের কিরণের মধ্যে। আমিও আছি দেখে বোধ হয় টুক করে এসে জানান দিয়ে গেল। এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়…।" 

 

এই পোস্টের একেবারে শেষে 'আমার মুক্তি আলোয়ে আলোয়ে…' গানটির উল্লেখ করেছেন স্বস্তিকা।  বছর কয়েক আগে এই রবীন্দ্রসঙ্গীতের একটি মিউজিক ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছিল। যেখানে বাবার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন স্বস্তিকা। মিউজিক ভিডিয়োটি বহু মানুষের মন ছুঁয়েছিল। 

প্রসঙ্গত, ইন্ডাস্ট্রিতে 'ঠোঁট কাটা' নামে পরিচিত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। নিন্দুকরা শত কটূকথা বললেও, 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউটই' রাখতে পছন্দ করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এই আচরণের জন্যেই তিনি বহু মানুষের মনের খুব কাছের। টলিউডের পাশাপাশি জমিয়ে কাজ করছেন বি- টাউনেও। এজন্যে মুম্বইতে তাঁর যাতায়াত লেগেই থাকে। মায়ানগরীতেও তাঁর কাজ যথেষ্ট প্রশংসিত।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement