অসুস্থ অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। জ্বরে আক্রান্ত তিনি। এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। সমস্ত রাজনৈতিক মিটিং ও ইভেন্ট থেকে দূরে থাকছেন নায়িকা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন নুসরত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও পোস্ট করেননি তিনি। তাঁর অফিসিয়াল সূত্রে জানানো হয়েছে, "নুসরতের জ্বর হয়েছে। কিন্তু ডাক্তার এখনও তাঁকে কোভিড টেস্ট করতে বলেননি। বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন তিনি।"
নুসরত জাহানকে এই মুহূর্তে সমস্ত রকম রাজনৈতিক মিটিং ও অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে, যেহেতু আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। এর আগে আজতক বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নুসরত বলেছিলেন, "এই কয়েক মাস প্রচণ্ড ব্যস্ততা চলবে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচনের জন্যে এখন কোনও ছবির কাজ করবো না। যা ছবির কাজ সব নির্বাচনের পরে করবো। " এদিকে গত শনিবার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার। বঙ্গে এখন চলছে রাজনৈতিক যুদ্ধের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর সেই সময়ে নুসরতের অসুস্থ হয়ে যাওয়া কতটা ক্ষতিকারক হবে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যে? সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনেও চলছে নানা টানাপড়েন। স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে একদিকে যেমন বিচ্ছেদের কথা উঠেছে, সেরকমই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কেই জল্পনাও তুঙ্গে। যদিও এবিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি দু'জনের কেউই। অন্যদিকে সম্প্রতি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন যশ। তাঁর বিশেষ বন্ধু নুসরত, তৃণমূলের সাংসদ বিরোধী দলের। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নুসরত-মিমি অন্য এক রাজনৈতিক দলের সদস্য হলেও তাঁরা যশের ভালো বন্ধু। রাজনীতির বাইরে ব্যক্তি হিসেবে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে।
গত ১২ মার্চ মুক্তি পেয়েছে নুসরত অভিনীত ব্রাত্য বসু পরিচালিত ছবি 'ডিকশনারি'। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে স্বামী-স্ত্রীয়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁদের। এছাড়াও তাঁর পরবর্তী ছবি 'স্বস্তিক সংকেত' এখন মুক্তির অপেক্ষায়। নুসরতের হাতে রয়েছে আরও দুটি ছবির স্ক্রিপ্ট। কথা এগোলে খুব শীঘ্রই সে বিষয়েও জানাবেন তিনি।