অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর কেটে গেছে এক বছরের বেশি সময়। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয় টলিউড অভিনেতার। শ্যুটিং চলাকালীন, অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। বাড়িতে ফিরেও চিকিৎসা শুরু হলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। গভীর রাতে প্রয়াণ হয় তাঁর। মৃত্যুকালে অভিষেকের বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
অভিষেকের আকস্মিক প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে আসে সমগ্র বিনোদন জগতে। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েন স্ত্রী সংযুক্তা ও মেয়ে ডল। এই ঘটনা আজও মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। অভিষেক পত্নী আজ মনে- প্রাণে বিশ্বাস করেন স্বামী তাঁর সঙ্গেই আছেন।
হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম অনুসারে বিধবা মহিলারা সিঁদুর পরেন না। এমনকী কোনও পুজোতেও সিঁদুর খেলেনও না। বর্তমানে বহু মহিলারা মুক্তমনা। তারা এই সব সামাজিক নিয়ম মানতে চান না। সংযুক্তাও এই নিয়ম মানতে নারাজ। তিনি মনে করেন, অভিষেক এখনও আছেন। আর এই বিশ্বাস নিয়েই এবছর সিঁদুর খেলবেন।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে সংযুক্তা জানান, "আমি এবারও সিঁদুর খেলব, মায়ের পায়ের সিঁদুর। কারণ, অভিষেক সশরীরে নেই, তবে আমি এখনও অভিষেকের স্ত্রী। বিয়ের দিন ও আমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েছিল, তাই আমি ওটা ওঁর জন্য পরতেই পারি। যদি আমি অভিষেককে ভুলে অন্য কাউকে বিয়ে করতাম, তাহলে ওঁর সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হত। তবে সে সম্ভবনা নেই, আমি চিরকাল ওঁর স্ত্রী হয়েই থাকব। ওঁকে এখনও অন্তর থেকে ভালোবাসি, ওঁর পরিচয়েই বেঁচে আছি। সমাজের কোনও রীতি এটার বিরুদ্ধে আমায় নিয়ে যেতে পারবে না। আমি এখনও অভিষেকের দেওয়া নোয়া পরি।" তিনি আরও যোগ করেন, "এটা আমির ব্যক্তিগত মতামত, অন্য কারও মতের সঙ্গে নাও মিলতে পারে, না মিললেও কোনও ব্যাপার নয়।"