প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বহুবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পরিচালক ঋতুপর্ণ-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভীষণ স্পেশাল। তাঁর নিজের মধ্যে ঋতুপর্ণ বেঁচে থাকবেন সে কথাও বার বার বলেছেন টলিউড সুপারস্টার। ৮ বছর আগে চলে গিয়েছেন ঋতুপর্ণ। কিন্তু আজও সেই অভাব বোধ করেন প্রসেনজিৎ। তাঁর বকা বড্ড মিস করছেন টলি পাড়ার বুম্বা দা। আবেগঘন পোস্টে এ কথাই লিখলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
পোস্টে তিনি লেখেন, '৮ বছর হয়ে গেছে তোর কোনও মেসেজ নেই, বকাঝকা নেই, সাক্ষাৎ হয় না, ঝগড়া হয় না, নতুন নতুন গল্প নিয়ে আলোচনা হয় না। কিন্তু. তুই আছিস - আমাদের মনে, আমাদের কথাবার্তায় তুই চির বর্তমান। এই সময়টায় তোর থাকা খুব দরকার ছিল রে। ভালো থাকিস ঋতু।' ১৯৯৪ সালে 'উনিশে এপ্রিল' ছবিতে ঋতুপর্ণের পরিচালনায় একেবারে অন্য ঘরানার ছবিতে অভিনয় করেন টলিপাড়ার 'বুম্বা'। তারপর একের পর এক 'উৎসব', 'চোখের বালি', 'দোসর', 'সব চরিত্র কাল্পনিক'-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন প্রসেনজিৎ। বাংলা সিনেমার দর্শকরা যে ভাবে প্রসেনজিৎকে দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন, তাকে, সেই মিথকে ভেঙেচুড়ে অভিনেতা প্রসেনজিৎকে সামনে দাঁড় করিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ।
শুধু প্রসেনজিৎ নয়, টলিউডের আর এক সুপারস্টার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-ও ঋতুপর্ণ ঘোষ-কে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, 'কতদিন হয়ে গেল তোমার সাথে বসে গল্প করিনা, দেখাও হয়না... ৮ বছর হয়ে গেল তুমি নেই... শুধু তোমার কাজ, তোমার শিক্ষা, তোমার ভালোবাসা, তোমার বকা আর অনেক আশীর্বাদ আছে সঙ্গে! নতুন করে তোমায় মিস করিনা কারণ কোনও দিন ভুলতেই যে পারিনি তোমায়! অনেক প্রণাম, ভালোবাসা আর তোমার প্রিয় ফুলের সুগন্ধ পাঠালাম।.. ভালো থেকো।'
অনেকেই হয়তো জানেন না, চোখের বালি এবং দোসরে মূল চরিত্রে ঋতুপর্ণা-ই পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন। কিন্তে সে সময় প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণা জুটিতে সিনেমা করবেন না বলে স্থির করেছিলেন। ফলে ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ঋতাপর্ণা।