প্রথমে বড় পর্দায় মুখ্য চরিত্রে ডেবিউ, তারপর প্রথম মিউজিক ভিডিও (Music Video)। সেই সঙ্গে সদ্য টেলি আকাদেমিতে (Tele Academy Awards 2022) মিলেছে সহ অভিনেতার সঙ্গে 'সেরা জুটি'-র স্বীকৃতি। সময়টা বেশ ভালই যাচ্ছে তৃণা সাহার (Trina Saha)। এ নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী?
আজতক বাংলা: দোলের আগে মুক্তি পেয়েছে আপনার প্রথম মিউজিক ভিডিও 'ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়'। ইতিমধ্যে ৮ লক্ষর বেশি মানুষ দেখেছেন গানটি। আপনি কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
তৃণা সাহা: এখনও অবধি খুবই পজিটিভ ফিডব্যাক পাচ্ছি, কোনও নেগেটিভ ফিডব্যাক আসেনি। এটা সত্যি আমার কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ। আসলে এই গানটা ছোট- বড় সকলের খুব প্রিয়। তার ওপর শোভন এত ভাল কম্পোজিশন করেছেন, ঈশান এত ভাল গেয়েছে এবং এসভিএফ-এর গোটা টিম এত ভাল কাজ করেছে, তাই আরও বেশি ভাল লেগেছে সকলের। এই গানের সাফল্যে আমার কৃতিত্ব ১ শতাংশ।
প্রশ্ন: আপনি তো গানটা জুড়েই আছেন...
তৃণা সাহা: হ্যাঁ, আমায় সকলে দেখতে পাচ্ছেন সেটা ঠিক। কিন্তু এর পিছনে যে মানুষগুলি রয়েছেন, আমার মনে হয়, তাঁদের কৃতিত্ব এক্ষেত্রে অনেক বেশি। গানটাই ভাল না হলে, আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও, কেউ শুনত না।
প্রশ্ন: এত পরিচিত একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত, আপনি আগে কখনও পারফর্ম করেছেন এই গানে?
তৃণা সাহা: ছোটবেলা থেকেই যেহেতু নাচ শিখতাম, আমার মনে আছে প্রতিটা দোলের অনুষ্ঠানে বহুবার এই গানের সঙ্গে নাচ করেছি।
প্রশ্ন: নীলের থেকে কোনও সমালোচনা শুনলেন?
তৃণা সাহা: এখনও ওঁর থেকেও এরকম কোনও মন্তব্য শুনিনি।
প্রশ্ন: ২০২২ -এ আপনার জীবনে প্রথম অনেক কিছু হচ্ছে। কী মনে হয়, বছরটা আপনার জন্য শুভ?
তৃণা সাহা: প্রতিটা বছরই সকলের ভাল -খারাপ মিলে কাটে। নেতিবাচক কিছুই যে হয়নি, এমনটা না। আবার ভাল কিছুও হয়েছে। আমি চেষ্টা করি, যতটা সম্ভব নেগেটিভটা দূরে সরিয়ে, পজিটিভটা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার।
প্রশ্ন: আরও মিউজিক ভিডিওতে দর্শকেরা দেখতে পাবেন তৃণা সাহাকে?
তৃণা সাহা: সুযোগ পেলে এবং গান, কনসেপ্ট ভাল লাগলে নিশ্চয় করব। এখন তো সোশ্যাল মিডিয়াই ট্রেন্ডিং। টিভির থেকেও মানুষ বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন। কয়েক বছর আগেও ভাবতে পারিনি, শুধু ইউটিউবের জন্য একটা গান তৈরি হতে পারে। তাই দর্শকেরা যেটা চায়, সেই মতো আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
প্রশ্ন: এজন্যেই কি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাকে সব ট্রেন্ডে গা ভাসাতে দেখা যায়?
তৃণা সাহা: একদমই তাই। আমরা শিল্পীরা সব সময় চাই সকলের মধ্যে থাকতে। আমার দর্শক চায় হয়তো আমায় এভাবে দেখতে, আমি সেটাই চেষ্টা করি দর্শকদের যতটা সম্ভব বিনোদন দেওয়ার।
প্রশ্ন: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে 'গুনগুন' চরিত্রে আপনি জনপ্রিয়। এবার কি ধীরে ধীরে চরিত্র থেকে বেড়িয়ে আসছেন?
তৃণা সাহা: না ঠিক বেড়িয়ে আসছি না। আর এখনই বেড়িয়ে আসব কি আসব না, সেটা একমাত্র চ্যানেল, প্রযোজকরা জানেন। তবে হ্যাঁ, একজন অভিনেতা হিসাবে সুযোগ পেলে আমি সবটাই করতে চাই। অরিন্দম দা (অরিন্দম শীল)-এর ছবিটে , আমার চরিত্রটা একেবারেই ভিন্ন গুনগুনের থেকে। অন্যদিকে মিউজিক ভিডিওটাও একেবারেই আলাদা। তাই মনে হয় ভিন্ন ধরণের কাজ করার ইচ্ছে সকল অভিনেতার থাকে। যতদিন আমি কাজ পাচ্ছি, করতে থাকব। এটাও হতে পারে, দু'বছর পরে হয়তো কাজই এলো না, তখন তো চাইলেই করতে পারব না...
প্রশ্ন: এবারের বসন্ত উৎসব কীভাবে কাটালেন?
তৃণা সাহা: প্রত্যেক বছর হোলিতে বাইরে যাই। তবে এবছর একেবারেই আলাদা ছিল। আমি আর নীল এবার বাড়িতেই একে অপরের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। এত বাইরে গিয়ে গিয়ে, বা কাজের জন্য নিজেদের মধ্যেই সময় কাটানো হয় না আর। আমি রান্না করলাম, একসঙ্গে খাওয়া- দাওয়া করলাম।
প্রশ্ন: তার মানে 'তৃণীল'-এর 'কোয়ালিটি টাইম' কেটেছে...
তৃণা সাহা: একেবারে, সেটাই বলা যায়।