প্রয়াত 'জন অরণ্য'-এর সোমনাথ। হ্যাঁ, প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের (Pradip Mukherjee) আগে জন অরণ্যের (Jana Aranya) সোমনাথ নামেই বাঙালির কাছে তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন। গত কয়েক দিন ধরে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ফুসফুসে সংক্রমণ তো ছিলই। তার সঙ্গে সেপ্টিমেমিয়া হওয়ায় রক্তে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার ২৯ অগাস্ট সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ দমদম ক্যান্টনমেন্টের মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর মেয়ে পায়েল ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমকে খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজই প্রয়াত অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের রক্তে বিষক্রিয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। ফুসফুসের সংক্রমণ তো আছেই, সঙ্গে নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছিল। ফলে সারা শরীরে সেই বিষক্রিয়া ছবিয়ে পড়তে সময় লাগেনি।
পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর ছবি ‘দত্তা’র শুটিং করছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। দু' দিন শুটিং করার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে ভর্তি করানো হয় নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। তারপর দমদম ক্যান্টনমেন্টের মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালের বেসরকারি বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে শেষ ছবি আর শেষ করা হল না তাঁর।
সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) হাত ধরে জন অরণ্য (Jana Aranya) ছবিতে বাংলা সিনেমায় প্রথম দেখা যায় প্রদীপ মুখোপাধ্যায়কে। এর পর সতী, সুমতি, হীরের আংটি, বাক্স রহস্য, দহন, চাকা, উৎসব, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, গোরস্থানে সাবধান, মাছ মিষ্টি মোর, গয়নার বাক্স ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রত্যেকটি চরিত্রে নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র বাংলাই নয়, হিন্দি ছবি কাহানি ২ এবং দ্য পার্সেল-এৎ মতো ছবিতেও কাজ করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।