ফের ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। ওমিক্রনের কারণে দেশে শীঘ্রই তৃতীয় তরঙ্গ (COVID-19 Third Wave) তার শীর্ষস্তরে পৌঁছাবে।
২০২২ সাল শুরু হতে না হতেই প্রথম সপ্তাহেই এক লাফে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। দেশে নতুন করে যত জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে মহারাষ্ট্র, বাংলা, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্নাটক— এই ৫টি রাজ্য থেকেই ৬৭.২৯ শতাংশ নতুন কেস নথিভুক্ত হয়েছে।
এ সবের মধ্যেই আতঙ্ক বহুগুণ বাড়িয়ে দিল সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IIS) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (ISI), ব্যাঙ্গালোরের যৌথ উদ্যোগে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জানুয়ারি মাসের তৃতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহে COVID থার্ড ওয়েভ তার শীর্ষস্তরে পৌঁছাবে। এই সময় দেশে রোজ প্রায় ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
Omicron সুনামির ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IIS) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (ISI), ব্যাঙ্গালোরের যৌথ উদ্যোগের এই সমীক্ষার দাবি, করোনার তৃতীয় তরঙ্গের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করার পর মার্চের শুরু থেকে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে।
গাণিতিক মডেলের ভিত্তিতে করা এই সমীক্ষায় অতীতের সংক্রমণ, টিকা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বিবেচনা করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ভারতের প্রায় সমতুল্য। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার Omicron পরিস্থিতির ভিত্তিতে এই সমীক্ষার তথ্য ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IIS) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (ISI), ব্যাঙ্গালোরের যৌথ উদ্যোগের এই সমীক্ষার দাবি, প্রতিদিন ৩ থেকে ১০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো তৃতীয় তরঙ্গ (COVID-19 Third Wave) তেমন ভয়াবহ আকার নেবে না বলেই দাবি করা হয়েছে এই সমীক্ষায়।