কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ এখন ভারতে ১৮ বছরের উপরে সমস্ত লোকেদের করোনা ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ভারতে এই প্রকৌশল এর নাম দেওয়া হয়েছে এহতিয়াতি খোরাক। আপাতত ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী লোকদের সবাইকে প্রাইভেট সেন্টার এর তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এর বয়স এর মধ্যে লোকেদের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য পয়সা খরচা করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর বক্তব্য অনুযায়ী দ্বিতীয় মাস পরে তৃতীয় ডোজ দিতে পারেন। লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার কারণে স্টাডিতে সামনে এসেছে যে করোনার বিরুদ্ধে ইমিউনিটি কম হতে শুরু করে। এর মধ্যে ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য জরুরি ভ্যাকসিন। ফ্রান্সে ১৮ বছরের ওপরে লোকেদের ভ্যাকসিনের চতুর্থ দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলেও জানুয়ারি থেকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এক্সপার্টরা এটাই মনে করছেন। যে করোনা মহামারীরকে কন্ট্রোলে রাখতে হলে ভ্যাকসিন অত্যন্ত জরুরি এক্সপার্টরা মনে করছেন। যে যখন পর্যন্ত মহামারীর শেষ না হবে, ততক্ষণ ছ মাস পর পর এই ডোজ দেওয়া উচিত।
১) কারা নিতে পারে? স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী ১৮ বছরের উপরে যে কোনও পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে নিতে পারেন। দ্বিতীয় ডোজ যাঁরা নিয়েছেন তাঁরাই নিতে পারবেন।
২) গর্ভবতী মহিলারা ডোজ নিতে পারবেন। আগে ভ্যাকসিন নিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের বিষয়ে উদ্বেগ ছিল। পরে অবশ্য সেটি অমূলক প্রমাণিত হয়েছে।
৩) কীভাবে লাগাবেন এই বুস্টার ডোজ? ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী মানুষেরা প্রাইভেট ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে গিয়ে বুস্টার ডোজ লাগাতে পারেন। তাদের সরকারি ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে ব্যবস্থা করা হয়নি। ৬০ বছর বয়সী বা তার বেশিরা সরকারি ভ্যাকসিনেশনের জায়গায় টিকা নিতে পারবেন। তারা, ফ্রন্টলাইন এবং হেলথকেয়ার ওয়ার্কাররা প্রাইভেটের সঙ্গে সরকারি জায়গাতেও বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
৪) তৃতীয় ডোজের জন্য কত খরচ করতে হবে? ৬০ বছরের উপরে যারা রয়েছেন, তাদের তৃতীয় ডোজ হলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দোষ দেওয়া হবে। ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী লোকেদের প্রাইভেট ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে নিতে হবে। কোভিশিল্ড এবং কো-ভ্যাকসিন দুটোরই দাম ২২৫ টাকা করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালে দেড়শ টাকার বেশি সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। অর্থাৎ আপনাকে ৩৭৫ টাকা খরচ করতে হবে।
৫) কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে? প্রথম ডোজগুলি যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তৃতীয় দফায় সেই টিকাই নিতে হবে।
৬) নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যে booster.এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করানোর প্রয়োজন নেই।
৭) Booster এরও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যে রকম প্রথম দুটি ডোজেরও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল, এটি নেওয়ার পরও আপনার সার্টিফিকেট পাবেন।
৮) কোভিড বুস্টার নেওয়া জরুরি। কারণ করোনার পর মানুষের শরীরের ইমিউনিটি কমতে থাকে। তাই বুস্টার তাকে বুস্ট আপ করে রাখে।
৯) কতটা কাজ করে? এই বুস্টার ডোজের পর বেশি করে শরীরে করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে বলে রিপোর্টে মিলেছে। সুতরাং এটা নিলে ভাল হবে।
১০) বুস্টার ডোজ অবশ্য চূড়ান্ত নয়। আবার ইমিউনিটি কমতে থাকলে পরে বুস্টার নেওয়া যেতে পারে। যতদিন করোনা না নির্মূল হচ্ছে, ততদিন বুস্টার ডোজ নিতে হবে।