করোনার আরও এক ঢেউতে কার্যত দিশেহারা চিন। ইতিমধ্যেই মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মানুষকে একপ্রকার মানুষকে বেড দেওয়া যাচ্ছে না। সৎকারস্থলগুলিতে লাশের পাহাড়। বলতে গেলে যাঁরা খুবই সৌভাগ্যবান তাঁরাই একমাত্র রক্ষা পাচ্ছেন। বেজিং-সহ প্রতিটি ছোট-বড় শহরে মহামারীর কারণে করোনার নতুন কেস এবং মৃত্যুর সংখ্যা নতুন করে বিশ্বকে এতটাই আতঙ্কিত করে তুলেছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনকে দেশে করোনার সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে বলেছে। কারণ ইতিমধ্যেই চিনের বিরুদ্ধে উঠেছে তথ্য গোপনের অভিযোগ। করোনার নয়া সাবভেরিয়েন্ট Omicron BF.7 চিনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।
উপসর্গের মিল
ভারতে অবশ্য এখও পর্যন্ত Omicron BF.7 মারণ আকার ধারণ করেনি। তবে এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে শীতের মরশুমে মানুষের সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি হল তাঁরা সাধারণ ফ্লু, ভাইরাল নাকি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা বোঝা। সব বিভ্রান্তিই রোগের উপসর্গ নিয়ে। যেহেতু BF.7 হল Omicron-এরই একটি উপসর্গ, তাই এর উপসর্গগুলি Omicron-এর মতোই। যেগুলির মধ্যে রয়েছে সর্দি, কাশি, সর্দি, জ্বর এবং গলা ব্যথা। অন্যদিকে শীতকালে মাথার টুপি বা পায়ের মোজা খুলে ফেললে অনেকের নাক থেকে সর্দি ঝরে। এই পরিস্থিতিতে, উপসর্গগুলি ক্রমবর্ধমান ঠান্ডার কারণে, নাকি ওমিক্রনের কারণে হচ্ছে তো বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
ঠাণ্ডা বা কোভিড কীভাবে সনাক্ত করবেন?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এক চিকিৎসক জানাচ্ছেন ঠান্ডা বা কোভিডের মধ্যে উপসর্গগত বিভ্রান্তি কাটানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, এই ভেরিয়েন্টটি অগাস্ত ২০২২ থেকে ভারতে পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। ওই চিকিৎসকের মতে, যদি এটি দ্রুত ছড়িয়েও পড়ে, তাহলেও তা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। কারণ সংক্রমণটি জটিল পর্যায়ে পৌঁছাবে না।
'Omicron BF.7 বৈশিষ্ট্য'
এই ভেরিয়েন্টের উপসর্গ হিসেবে বলা যায়, গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দি, কাশি, ক্লান্তি, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকদের মতে, যদি ৫ দিন পরও জ্বর-কাশির মতো উপসর্গ থেকে যায়, তাহলে এই অবস্থায় অবশ্যই কোভিড টেস্ট করাতে হবে। কারণ কিছু সাধারণ উপসর্গের কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন - রাহুল বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে কোনও সমস্যা নেই: নীতীশ কুমার