করোনায় লাফিয়ে বাড়ছে মালদায় মৃতের সংখ্যা। মৃত্য়ুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
শুধুমাত্র মালদা মেডিক্যাল কলেজেই পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে সেখানে গত একমাসে প্রায় শতাধিক রোগীর মৃত্য়ু হয়েছে। পনেরাে দিনের হিসেব ধরলে সংখ্যাটা জনা পঁয়ষট্টি। গড়ে চারজন করে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। এদিকে সংক্রমণের সংখ্যাও জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ দিনে জেলায় প্রায় সাড়ে ছ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে জেলা জুড়ে।
কিন্তু তারপরেও মালদহ জেলায় রাস্তা ঘাটে, বিভিন্ন হাট-বাজারে অসংখ্য মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ। অনেকেই এখনও মাস্ক যেমন পড়ছেন না, তেমনই বাজারে শারীরিক দূরত্ববিধিও উধাও থাকছে। আর এই প্রবণতায় আশঙ্কিত স্বাস্থ্য কর্তারা।
মালদহ জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। দু’দিন আগেই বৈষ্ণবনগর বিধানসভার একজন নির্দল প্রার্থী সমীর ঘোষ করোনায় মারা যান। মারা গিয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন বিকাশ রায়ও। মালদহ মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিনে এই হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে প্রায় ৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ এপ্রিল থেকে ১৫ দিনে জেলায় ৬৪৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত তিনদিনে ৬০০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখন মালদহ জেলার সরকারিভাবে কোভিড হাসপাতাল মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ১৫০টি শয্যা রয়েছে। এছাড়া দু’টি সেফহোমে শয্যা সংখ্যা ৮০টি। দু’টি নার্সিংহোমে ৫০টি শয্যার অনুমোদন রয়েছে।
কিন্তু যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে, সে তুলনায় শয্যা সংখ্যা অনেক কম বলে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেও অনেকে করোনা বিধি মানছেন না বলে অভিযোগ। তা নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত ১৫ দিনে আমাদের কোভিড হাসপাতালে ৫৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। বুধবার এই ইউনিটে ১৪০ জন রোগী ভর্তি। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন হয়ে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ববিধি মানা খুবই প্রয়োজন। না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।