Advertisement

বাড়িতে রেখেই COVID আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন SSKM-এর চিকিৎসক

কেন এই নিদান? হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা কম। এটা একটা কারণ। এর পাশাপাশি বাড়িতে থেকে রোগীর চিকিৎসা করালে তিনি মানসিক ভাবে অনেকটা জোর পাবেন।

এসএসকেএমের চিকিৎসক অগ্নিভ মাইতি
অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 13 Jun 2021,
  • अपडेटेड 5:41 PM IST
  • বাংলার এক চিকিৎসকের নিদান ছিল, বাড়িতে রেখেই করোনা রোগীর চিকিৎসা করা যেতে পারে
  • করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিক থেকেই তিনি এই পন্থায় চলছেন
  • এবং সারিয়ে তুলেছেন বহু মানুষকে

করোনাসংক্রমণের জেরে দেশ হোক বা রাজ্যে- চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা ধরা পড়েছিল। পরে যদিও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় অনেক বদল আনা হয়েছে। তবে তা এখনও যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন চিকিৎসকদের বড়সড় অংশ।

এই সমস্যা বুঝতে পেরে বাংলার এক চিকিৎসকের নিদান ছিল, বাড়িতে রেখেই করোনা রোগীর চিকিৎসা করা যেতে পারে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিক থেকেই তিনি এই পন্থায় চলছেন। এবং সারিয়ে তুলেছেন বহু মানুষকে।

এসএসকেএম-র মেডিসিন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অগ্নিভ মাইতি তেমনই পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়নি, এমন নয়। সেই সংখ্যা বেশ কম।

কেন এই নিদান? হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা কম। এটা একটা কারণ। এর পাশাপাশি বাড়িতে থেকে রোগীর চিকিৎসা করালে তিনি মানসিক ভাবে অনেকটা জোর পাবেন। কারণ ওই রোগটা সম্পর্কে চিকিৎসক, মানুষের জানাবোঝার পরিধি বেশ কম। অনেকেই আতঙ্কে ছিলেন। তাই বাড়িতে রেখেই চিকিৎসায় জোর দিয়েছেন তিনি।

অগ্নিভ মাইতির কথা, করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে হাসপাতালে শয্য়ার সমস্যা ছিল। তাই বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার কথা ভেবেছি। যে কোনও রোগের ব্য়াপারে মানসিক দিকটা অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে থাকলে সুবিধা বেশি। প্রবীণ, কোমর্ডিটি রয়েছে এমন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হলে, তাঁদের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তা সে সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল। তাই যাঁদের মৃদু বা সামান্য উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করানো যেতে পারে।

তিনি আরও জানাচ্ছেন, পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে বাড়িতে রোগীর শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা জানা যেতে পারে। রক্তের পরীক্ষাও বাড়িতে সম্ভব। তবে সিটি স্ক্যানের জন্য বাইরে যেতে হবে। অক্সিজেনের ব্যবস্থাও বাড়িতে করা যেতে পারে।

Advertisement

তিনি জানান, কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে শয্যা পেতে সমস্যা হতে পারে। সে সময়টুকু যাতে অক্সিজেন দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা বাড়িতে করা যেতে পারে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগে সামাল দেওয়া যায়। অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-র নীচে হয়ে গেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছি। 

অগ্নিভ জানান, যাঁদের মৃদু উপসর্গ, উপসর্গ রয়েছে, অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ বা তার ওপরে, তাঁদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ওপর দিয়েছে। হ্যাঁ, তবে আলাদা ঘর, শৌচালয় থাকা দরকার। যাঁদের নেই তাঁরা সেফ হোম থাকুন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কথা হচ্ছিল তাঁর কাছে চিকিৎসা করানো কয়েকজন সেরে ওঠা রোগীর সঙ্গে। স্টেট ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হাওড়া মডিউলের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিফ রিজিওনাল সেক্রেটারি  ইন্দ্রনীল পাইন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। অগ্নিভ মাইতির তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল বাড়িতে থেকেই।

তিনি বলেন, ওঁর কাছে শুধু আমি নই, আমাদের ব্যাঙ্কের অনেক সেরে উঠেছেন। অসম্ভব ভাল পরিষেবা দিয়েছেন। মাঝরাতেও ভিডিও কল করে অনেকে পরামর্শ পেয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ছিলাম। তখন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারলে, অনেকটা ভাল লাগে। আমার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছিল। কথা বলতে পেরেছিলাম।

বাচিক শিল্পী সোমনাথ দে জানান, ভীষণ ভাল চিকিৎসা করেছিলেন। এক চিকিৎসেকর মানবিক মুখ দেখতে পেয়েছি। সামর্থ্য নেই, এমন মানুষের কাছ থেকে একটা পয়সা নেননি। যখন কথা বলতাম, ধৈর্য ধরে শুনেছেন।

বেশ কিছুদিন আগে আইনজীবী ভাস্কর ঘোষ আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। বাড়িতে থেকেই সেরে উঠেছেন। তিনি জানান, চিকিৎসক অগ্নিভ মাইতি ফোনে ওষুধ, পরীক্ষার কথা বলে দিয়েছিলেন। যা বলেছেন, সেই মতো চলেছি। ১৬-১৭ দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছি। বাড়িতে থাকলেও অসুবিধা হয়নি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement