Advertisement

Exclusive: উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে Happy Hypoxia!

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই ‘Happy Hypoxia’। কী এই Happy Hypoxia, কী ভাবে করোনা আক্রান্তদের প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এটি? জেনে নিন এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম পাণ্ডে...

Happy Hypoxia: এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি নানা তথ্য জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম পাণ্ডে।
সুদীপ দে
  • কলকাতা,
  • 22 Apr 2021,
  • अपडेटेड 7:29 PM IST
  • কী এই Happy Hypoxia?
  • কী ভাবে করোনা আক্রান্তদের প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এটি?
  • জেনে নিন এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম পাণ্ডে

প্রতিদিনই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতেও ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি! প্রতিদিনই আড়াই-তিন লক্ষ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে Happy Hypoxia!

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই ‘Happy Hypoxia’। কী এই Happy Hypoxia, কী ভাবে করোনা আক্রান্তদের প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এটি? জেনে নিন এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম পাণ্ডে...

কী এই Happy Hypoxia?
ডাঃ পাণ্ডে জানান, হাইপোক্সিয়ায় (Hypoxia) আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, শরীরে, রক্তে অক্সিজেনের অস্বাভাবিক ঘাটতি হওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে মাথা ঘোরানো, প্রবল শ্বাসকষ্টর মতো কোনও সমস্যা বা উপসর্গই থাকে না। কোনও রকম সমস্যা না থাকায় সময় মতো চিকিৎসাও শুরু করা যায় না। এই কারণে অনেক ক্ষেত্রেই Happy Hypoxia-এ আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর মুখে। তখন আর কিছুই করার থাকে না।

Happy Hypoxia-এ আক্রান্ত হলে তা কী ভাবে বোঝা যায়?
ডাঃ পাণ্ডে জানান, শরীরে বা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও সমস্যা অনুভব না করাই Happy Hypoxia-এর প্রধান লক্ষণ। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৭-এর নিচে নেমে গেলেই শ্বাসকষ্ট হওয়াটা একটা স্বাভাবিক উপসর্গ। কিন্তু Happy Hypoxia-র ক্ষেত্রে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৮০ শতাংশের নিচে নেমে গেলেও আক্রান্ত ব্যক্তি কোনও সমস্যাই অনুভব করেন না। এই অদ্ভুত পরিস্থিতিকেই Happy Hypoxia বলা হয়।

শরীরে বা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে, সেটা কী করে বোঝা যায়?
ডাঃ পাণ্ডে বলেন, “অক্সিজেনের স্যাচুরেশন পরিমাপক যন্ত্র Pulse Oximeter ডিভাইস রোগীর আঙুলের মাথায় ক্লিপের মতো লাগিয়ে পরীক্ষা করলেই শরীরে অক্সিজেনের উপস্থিতির পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।”

Advertisement

Happy Hypoxia কী ভাবে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে?
ডাঃ পাণ্ডে জানান, পসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে Happy Hypoxia-র প্রভাবে কোনও রকম শারীরিক সমস্যা ছাড়াই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। কোনও রকম শারীরিক সমস্যা না থাকায় সঠিক সময়ে রোগীর চিকিৎসাও হয় না। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে আক্রান্তের একাধিক অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ দ্রুত বিকল হতে শুরু করে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

Happy Hypoxiaর চিকিৎসা কী?
ডাঃ পাণ্ডে জানান, Happy Hypoxia-র চিকিৎসা বলতে বাইরে থেকে অক্সিজেন দিয়ে রোগীর শরীরের অক্সিজেনের অস্বাভাবিক ঘাটতি পূরণ করা। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে, তাহলে তার চিকিৎসা শুরু করা।

ডাঃ পাণ্ডে জানান, Happy Hypoxia-র চিকিৎসায় শুধুমাত্র অক্সিজেন দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। কতগুলি আনুসাঙ্গিক নিয়ম মানাও জরুরি। যেমন, রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রেও কতগুলি পর্যায় রয়েছে সেগুলি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। প্রথমে রোগীকে নাজাল ক্যাননুলার (nasal cannula) মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হবে। নাজাল ক্যাননুলায় কাজ না হলে উচ্চ প্রবাহ-যুক্ত মাস্কের (High flow mask) সাহায্যে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য ফেরানোর চেষ্টা করতে হয়। এতেও রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে তখন তাঁকে ভেন্টিলেশন বা প্রোন ভেন্টিলেশনে রেখে অক্সিজেন দেওয়া হয়।

ডাঃ পাণ্ডে বলেন, “চিন্তার কারণ হল, Happy Hypoxia-র কোনও বিশেষ উপসর্গ নেই, যার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু করতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। যে কারণে Happy Hypoxia-এ আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।”
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement