Advertisement

মাস্ক মারবে করোনা? বর্ধমানের মেয়ের উদ্ভাবন সাড়া ফেলে দিয়েছে

মুম্বইয়ে গুগল'স মিউজিয়াম অব ডিজাইন এক্সেলেন্স (Google's Museum of Design Excellence)-এ দেখানো হবে সেটি। তা কাজে লাগানোর জন্য় রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া। পূর্ব বর্ধমানের দিগন্তিকা বসু এমনই মাস্ক তৈরি করেছেন।

নিজের তৈরি মাস্ক মুখে দিগন্তিকা বসু
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 11 May 2021,
  • अपडेटेड 5:00 PM IST
  • বিশেষ ধরনর মাস্ক তৈরি করে বাংলার এক পড়ুয়া তাক লাগিয়ে দিয়েছে দুনিয়াকে
  • তৈরি করেছে এমন এক মাস্ক যা মারতে পারে করোনাভাইরাস
  • গুগল নিজেদের প্রদর্শনীতে সেই তা দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে

বিশেষ ধরনর মাস্ক তৈরি করে বাংলার এক পড়ুয়া তাক লাগিয়ে দিয়েছে দুনিয়াকে। তৈরি করেছে এমন এক মাস্ক যা মারতে পারে করোনাভাইরাস (Coronavirus)। এমনই দাবি তার। গুগল নিজেদের প্রদর্শনীতে সেই তা দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

মুম্বইয়ে গুগল'স মিউজিয়াম অব ডিজাইন এক্সেলেন্স (Google's Museum of Design Excellence)-এ দেখানো হবে সেটি। তা কাজে লাগানোর জন্য় রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া। পূর্ব বর্ধমানের দিগন্তিকা বসু এমনই মাস্ক তৈরি করেছেন।

সে পড়ে দ্বাদশ শ্রেণীতে। ইন্ডিয়া টুডে (IndiaToday)-কে জানিয়েছে, তার তৈরি সেই মাস্কে রয়েছে তিনটি খাপ বা চেম্বার। তার মধ্যে প্রথমটি নেগেটিভ আয়ন উৎপাদনকারী । যা বায়ুতে থাকা ধূলিকণাকে আলাদা করে দেয়।

এরপর যখন পরিশুদ্ধ বায়ু দ্বিতীয় চেম্বার থেকে পরে অর্থাৎ তৃতীয় চেম্বারে যাবে, সেখানে থাকছে সাবান এবং জল। যা করোনাভাইরাস (Coronavirus)-কে মারতে পারে বলে দাবি তার।

দিগন্তিকা আরও জানিয়েছে, আমরা জানি যে সাবান-জল ভাইরাসকে মারতে পারে। তাই যখন বায়ু তৃতীয় চেম্বারে আসবে, ওই রাসায়নিক দ্রবণ ভাইরাসকে মারতে পারবে। 

এবং এর ফলে করোনা আক্রান্ত কোন মানুষ যদি এই মাস্ক ব্যবহার করেন এবং যখন তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাস চলবে, তখন তিনি সংক্রমণ ছড়াতে পারবেন না বলে দাবি করছে সে। দিগন্তিকা আরও জানিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই মাস্ক ব্যবহারের জন্য আবেদন জানিয়েছে।

এই মাস্ক করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক বড়সড় হাতিয়ার হতে পারে। সেই সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও সে এরকম মাস্ক তৈরি করেছিল। তখন করোনার প্রথম তরঙ্গ চলছিল। 

এ ব্যাপারে সে জানায়, এর আগেও আমি মাস্ক তৈরি করেছিলাম। তখন প্রথম লকডাউন চলছিল। আমার হাতের কাছে যা যা জিনিস পেয়েছিলাম, তা দিয়ে তৈরি করেছিলাম মাস্ক। আমি বরাবরই এই ধরনের কাজ করতে খুব ভালবাসি।

Advertisement

এবং তার নজিরও রয়েছে। এর আগে বাংলার সুন্দরবন এলাকার জন্য এমন এক ধরনের চশমা তৈরি করেছিলেন, যা ব্যবহার করে মাথা না ঘুরিয়েও পেছন দিকে দেখতে পাওয়া যাবে। 

এরকম চশমা অত্যন্ত কার্যকর। কারণ সুন্দরবনের মানুষজন অনেক সময় মাছ, মধু সংগ্রহের জন্য বনের ভেতরে যায। অনেক সময় কাঁকড়া সংগ্রহের জন্য তারা সেখানে যান। ফলে এমন চশমা থাকলে তাঁরা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন, পিছন থেকে কোনও প্রাণী আক্রমণ করছেন কিনা।

দিগন্তিকা ইতিমধ্যে তিনবার এ পি জে আবদুল কালাম ইগনাইট' পুরস্কার পেয়েছে। শেষবার পাওয়ার কারণ সেই মাস্ক। তখন সে তৈরি করেছিল এমন এক ধরনের মাস্ক যা ব্যবহার করলে কানের ওপর কোনও চাপ ফেলবে না। দিব্যি ব্যবহার করা যাবে সেটি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement