ওমিক্রনের লক্ষ্য নিয়ে রোজ নতুন বিষয় সামনে আসছে। এখন কিছু ডাক্তাররা বলছেন যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর প্রথম লক্ষণ রোগীর চোখে দেখা যায়। কাশি থেকে নিয়ে ডায়রিয়া মত লক্ষণ দেখা যায়, কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে চোখের সঙ্গে জড়িত সমস্যা, সমস্যা তৈরি করতে পারে যা কিনা দ্বিতীয় ভ্যারিয়েন্টের সামান্য রূপে দেখা যায়।
চোখে কীভাবে হতে পারে সমস্যা?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (WHO) চোখের সঙ্গে জড়িত সংস্থাকে অসামান্য অথবা কম দেখতে পাওয়া লক্ষণ এর মধ্যে সূচিবদ্ধ করেছে। এর মধ্যে চোখের সঙ্গে জড়িত এক অথবা এক-এর চেয়ে বেশি লক্ষণ শামিল হতে পারে রিপোর্ট অনুযায়ী চোখের সাদা অংশ এবং পর্বতের উপরে কনজাংটিভাইটিস সুজন ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে
কনজাংটিভাইটিস
এছাড়া চোখে লালভাব, জ্বলুনি এবং ব্যথা, করোনা ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। চোখে আবছা দেখা, চোখে আলো পড়লে সমস্যা হওয়া, চোখে জল চলে আসা, সমস্ত কিছুই করোনার লক্ষণ হতে পারে। জুন ২০২০তে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে করোনা রোগীদের মধ্যে ৫ শতাংশ চোখের সঙ্গে জড়িত সমস্যা কনজাংটিভাইটিস শিকার হতে পারে।
যদিও চোখের সঙ্গে জড়িত লক্ষণ দেখতে পাওয়ার মানে এটাই নয় যে তার সময়ে সবটাই ওমিক্রন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ চোখের সমস্যা হতে পারে। এ কারণে কোভিডের অন্য লক্ষণগুলো নজরে রাখা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ এবং টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া সেটিকে ওমিক্রন বলে ভেবে নেওয়া নিতান্ত অনুচিত হবে।
কী বলছে এই স্টাডি রিপোর্ট ?
ভারতীয় বিজ্ঞানীরা করোনার চোখের সঙ্গে জড়িত লক্ষণ দুর্লভ বলে মনে করছেন। তাঁদের বক্তব্য, যে কোনও ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হওয়ার নানা লক্ষণ হতে পারে এবং এটি প্রারম্ভিক সর্তকতা বলে মনে করা যেতে পারে। যদিও কিছু স্টাডিজ চোখের সঙ্গে জড়িত লক্ষণকে ব্যাপক বা অনেক বড় লক্ষণ বলে মনে করছে। একটা স্টেজে বলা হয়েছে যে ৩৫ শতাংশের বেশি অসুস্থ রোগীদের তুলনায় ৪৪ শতাংশ কোভিডের সঙ্গে জড়িত সমস্যা সামনে এসেছে। এর মধ্যে চোখ থেকে জল বের হওয়া এবং লাইট সেন্সিটিভিটি লক্ষণ সবচেয়ে বেশি কমন।
চোখে কীভাবে প্রবেশ করে ভাইরাস ?
গোল্ডেন আই-এর জেনারেল প্রাকটিশনার নিশা আসলম জানিয়েছেন যে কোভিড ভ্যারিয়েন্ট জিন সেল রিসেপ্টর দিয়ে শরীরে দাখিল হয়, সেটি চোখে থাকে। ভাইরাসে রিসেপ্টরকে ধোঁকা দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এটি রিসেপ্টর অথবা চোখের বিভিন্ন আলাদা অংশে পাওয়া যায়। যেমন রেটিনা, চোখের কোশিকা, চোখ এবং চোখের সাদা অংশ অথবা পলকের অংশে দেখা যায়। বিভিন্ন স্টাডিজের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে শুরুর দিকের যে সমস্ত রিপোর্ট, তাতে ডেল্টা এবং তার তুলনায় কারণে এই রিসেপ্টর সঙ্গে জড়িত ভাইরাসের ক্ষমতা অনেক বেশি। যদি এরকম হয় তাহলে চোখের সঙ্গে জড়িত লক্ষণ এবং অমিক্রণ সংক্রমণের সংকেত পাওয়া যায়।
চোখের লক্ষণে ওমিক্রন হলে কীভাবে চিকিৎসা হবে ?
চোখের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই জড়িত থাকার লক্ষণ হয়তো খুব বেশি অস্বস্তিকর বা কষ্টদায়ক হবে না, কিন্তু কিছু লোকের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত সমস্যা তৈরি করতে পারে। চোখ লাল হওয়া, জ্বালা পোড়া, চোখ দিয়ে জল পড়া সহ অস্বস্তিকর অনুভব দিতে পারে। ঘরেই চিকিৎসা করা যেতে পারে। হিসেব অনুযায়ী এর জন্য জল গরম এবং ঠান্ডা দিয়ে সেঁক দেওয়া যেতে পারে এরপর পরিষ্কার কটন প্যাড এর অংশকে ভিজিয়ে সাবধানে চোখ মুছে ফেলতে হবে।
চোখের আরাম পাওয়ার জন্য আপনারা চাইলে বেশ কিছুক্ষণ ভেজা কাপড় চোখের ওপর দিয়ে রাখতে পারেন। যদি সমস্যা বেশি হয়, তাহলে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। যদি আপনি হোম আইসোলেশনে থাকেন তাহলে অনলাইনেও পরামর্শ নিতে পারেন বা অন্য কাউকে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পাঠাতে পারেন।