BSF: দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা বন্যপ্রাণীর চোরাচালানকে ব্যর্থ করে বিরল প্রজাতির একটি তক্ষক-সহ এক চোরাচালানকারীকে আটক করল। সেটি বাংলাদেশ থেকে ভারতে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পানিতর বর্ডার আউট পোস্ট এলাকা দিয়ে পাচারের জন্যে আনা হচ্ছিল।
শনিবার সকাল সোয়া ০৯টা নাগাদ আগে থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিএসএফ জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি অভিযান চালান।
সেই সময় ওই দল একটি সন্দেহভাজন ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করেন। ওই ব্য়ক্তি একটি ছোট ব্যাগ নিয়ে বিদ্যাধরী নালা হয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
তখন বিএসএফের দল চোরাচালানকারীকে থামার জন্য বলে। তবে সে কোনও কথা শোনেনি বলে অভিযোগ। চোরাচালানকারী বাংলাদেশের দিকে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কারণ জওয়ানরা তাকে ব্যাগ সহ ধরে ফেলে।
ব্যাগ তল্লাশির সময় তার ভিতর থেকে বিরল প্রজাতির তক্ষক (টায়কো গেকো) উদ্ধার হয় । শিগগিরি প্যাকেটটি জওয়ানরা আটক করে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাচারকারীকে হেফাজতে নিয়ে নেয়। এই টিকটিকিটির বিশেষত্ব হল এটি তার রঙ পরিবর্তন করতে থাকে। গ্রেফতার হওয়া চোরাচালানকারীর নাম যুগল ঘোষ। বাড়ি হুগলি জেলার তারকেশ্বরে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় চোরাচালানকারী যুগল ঘোষ জানায়, সে একজন ভারতীয় বাসিন্দা এবং সে গুজরাটের রাজকোটে শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে কাজ না থাকায় বাড়ি ফিরে আসে। এবং গত কয়েকদিন ধরে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
সে আরও বলেছে, এটি (টায়কো গেকো) সাবির নামে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছিল। সে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে উত্তর ২৪ পরগণার খোলাপাতা, জেলা বাসিন্দা এবং এই সেটি সাবির বাংলাদেশ থেকে এনেছিল।
সেটি নদিয়া জেলার বাসিন্দা আরেক চোরাকারবারী নজরুলকে দিতে যাচ্ছিল কিন্তু বিদ্যাধরী নালার কাছে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা তাকে তক্ষক-সহ ধরে ফেলে।
উদ্ধার হওয়া তক্ষক এবং চোরাচালানকারীকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বসিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার জনসংযোগ কর্মকর্তা জওয়ানদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, বন্যজীবের চোরাচালানকে ব্যর্থ করে বিরল প্রজাতির প্রাণী-সহ একজন চোরাচালানকারীকে আটক করেছে। জওয়ানদের সতর্কতার জন্য এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে।