England: বাথরুম মেরামত করতে গিয়েছে এমন ঝক্কি পোহাতে হবে, তা কে জানত! ব্রিটেনে এক মহিলা তেমনই সমস্যা মধ্যে পড়েছেন। সেখানে ৫৭ বছর এক প্লাম্বার গোপন ক্যামেরা ফিট করে দিয়েছি। আর তারপর সেখানকার ছবি ওই ক্যমেরা রেকর্ড করত।
তবে একদিন ওই মহিলা নজর ওই গোপন ক্যামেরায় পড়ে। আর তারপর তিনি পুলিশে খবর দিয়ে দেন। এরপর ওই প্লাম্বারকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার ঘরে তল্লাশি করা হয়। যেখান থেকে এমন অনেক কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে যা দেখে তাজ্জব পুলিশ এবং তদন্তকারীরা।
ডেইলি মেইলে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনা ব্রিটেনের নটিংহাম শহরের।
যেখানে ৫৭ বছরের জেমস হুলমে নামে এক ব্যক্তি অভিযুক্ত। ২০১৮ সালের ঘটনা। সেই সময়ে এক মহিলার নিজের ঘরের কিছু কাজ ছিল। আর সে জন্য তাকে ডেকেছিলেন।
আর তখনই ওই ব্যক্তি ও মহিলার বাথরুমে ক্যামেরা সেট করে দিয়ে যান এবং কেউ কিছু সন্দেহ করেনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনা হল একদিন ওই মহিলা বাথরুমে স্নান করতে গিয়েছিলেন। আর তখন তাঁর নজর ওই ক্যামেরার দিকে পড়ে। আর তিনি কাল-বিলম্ব করেনি।
ছুটে যান পুলিশের কাছে প্লাম্বারের ওই চিঠির কথা জানান এরপর পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় আর ঘরে তল্লাশি জন্য পৌঁছয়।
তবে ওর ঘরের তল্লাশি করতে গিয়ে তো পুলিশের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। এমন জিনিস পেয়েছে যা দেখে চমকে যায় তারা। দেখতে পায়, শুধু ওই মহিলার বাথরুমে নয়, আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতেও এমন কাজ করেছে।
তার ঘর থেকে শিশুদের অশ্লীল ছবি পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক হচ্ছে, এমন ছবি মিলেছে।
বেশ কয়েকজন মহিলা বাথরুমে স্নান করছেন, তার ছবি সেখানে মিলেছে। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আর তারপর তাকে আদালতে পেশ করে।
আদালত তাঁকে ১২ মাসের জেলের সাজা ঘোষণা করেছে। পুলিশ জানাচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ব্যক্তি দাবি করে, নিজের যৌন চাহিদা মেটাতে এ রকম কাজ করেছিল সে।
আর তাই বেশ কয়েকটি ঘরে এমন গোপন ক্যামেরা ফিট করে দিয়েছে। তবে শিশুদের ছবির ব্যাপারে সে কিছু বলতে চায়নি। তা অস্বীকার করেছে। আপাতত এখন জেলে।