Hooghly: এক দশক পর ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন মা। ছেলে তাঁর থেকে অনেক দূরে ছিল। বাড়িতে আসবে, তার নিশ্চয়তা ছিল না মোটেই। মায়ের স্নেহের টানে জেলখানা থেকে ছেলে এল বাড়িতে। সঙ্গে এল খুশির বাতাস।
প্রায় দশ বছর বাদে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। তবে স্থায়ী ভাবে নয়। আবার চলে যাবে যেখান থেকে এসেছিল সেখানে। ঘরের মধ্যে হাতকড়া এবং কোমরের দড়ি রাখা আছে।
ঘরের বাইরে কড়া নিরাপত্তা। ভেতরে রয়েছে লাইফার সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী মহম্মদ শামিম। ভদ্রেশ্বরের অ্যাঙ্গাস মসজিদ পাড়ায় শামিমকে ঘিরে রয়েছেন প্রতিবেশি থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন অনেকেই।
কারণ দীর্ঘ সময় পর সে বাড়িতে এসেছে। সময়টা কম নয়, দশ বছর। খুনের অভিযোগে লাইফার হয়েছে শামিমের।
হুগলি জেলের মধ্যে মনটা ছটফট করছিল মায়ের জন্য। তাই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে সে আবেদন করেছিল বাড়িতে আসার জন্য। শামিমের আবেদনে সাড়া দিয়ে ৪৮ ঘন্টার জন্য বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশি প্রহরায় শামিমের কপালে জুটছে মায়ের স্নেহ মায়ের ভালবাসা। এই ভালবাসা অস্থায়ী হলেও মা ছেলে দু'জনেই খুশি। সেই উচ্ছ্বাস লুকোতে পারা গেল না।
শামিম জানায় সংশোধানাগারে সে পড়াশুনা করত। এখন করে না। হয়তো বাড়ির থেকে এখন তার সংশোনাগারের দিকেই মন। কারণ দীর্ঘ সময়ট পেরিয়ে গিয়েছে। দশ বছর কেটে গিয়েছে।
কিন্তু মায়ের কোনও বিকল্প হয় না। তাই এত দিন বাদে মা ও ছেলের ভালবাসা দেখিয়ে দিল কারাগারে বন্দি থাকলেও মন পড়ে মায়ের কাছে।
সে জানে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। জীবন থেকে অনেক দামি জিনিস বাদ চলে গিয়েছে। আর তা ফেরত পাওয়ার আশা নেই। এখন যা রয়েছে, তা দিয়েই কাটাতে হবে বাকি জীবন। তবে মায়ের কথা মনে পড়ছিল খুব। বাড়িতে এসে মায়ের স্নেহের পরশ পাবে, সে কথা ভাবেনি মোটেই। তা পাওয়া গিয়েছে, এ যেন বড় পাওনা।